• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাঠে পাকা ধান কাটার শ্রমিক নেই


গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি মে ২২, ২০১৯, ০১:৪২ পিএম
মাঠে পাকা ধান কাটার শ্রমিক নেই

রাজশাহী : বরেন্দ্র অঞ্চলে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেওয়ায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

সম্প্রতি ফণীর কারণে ব্যাপক বৃষ্টির ফলে ক্ষেতের পাকা ধানগাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে ধানের বাম্পার ফলনের পরও স্বস্তিতে নেই কৃষকরা। শ্রমিকের অভাব ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে কৃষকের পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, তা কাটতে পারছেন না তারা। একদিকে বরেন্দ্র অঞ্চলে মাঠের পর মাঠ পাকা ধান পড়ে থাকলেও শ্রমিক সঙ্কটে কাটতে পারছেন না কৃষক। তাই হতাশায় ভুগছেন তারা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে ধানের দাম কম হওয়ায় শ্রমিক সঙ্কটের কারণে সময়মতো সোনার ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। জমিতে পাকা ধান থাকলেও ঘরে তুলতে পারছে না শ্রমিক সঙ্কটে।

অন্যদিকে আবারো ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। ব্যাপক হারে ইরি-বোরো চাষে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে কৃষক দিশেহারা। এ কারণে ইরি-বোরো বাম্পার ফলনেও বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি নেই। স্থানীয় যে সব শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে, তাদের দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।

বরেন্দ্র অঞ্চলের গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ হাসান বলেন, শ্রমিক সঙ্কটের মধ্যেও কিছু শ্রমিক যা-ও পাওয়া যায়, তারা কৃষকদের উল্টো নানা শর্ত জুড়ে দেয়। তারপরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধান কেটে শ্রমিকরা ক্ষেতেই রেখে দিচ্ছে। সেখান থেকে আলাদা শ্রমিক দিয়ে বাড়িতে কাটা ধান এনে মাড়াই করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এবার ১৮ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ৩ বিঘার ধান কাটা হয়েছে। বাকি পাকা ধান শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ক্ষেতেই পড়ে আছে। তানোর উপজেলার কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন,  ধানের দাম নেই, বেশি মজুরি দিয়ে পাকা ধান কেটে ধান বিক্রি করে চাষাবাদের খরচ উঠছে না। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সবাই সব পারে কৃষক শুধু খেটে মরে।

রাজশাহী কৃষি অফিসার জানান, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীসহ সব স্তরের কর্মকর্তারা প্রচণ্ড পরিশ্রম করে কৃষকদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। এ পর্যন্ত কৃষকরা কিছু ধান ঘরে উঠাতে পেরেছেন। ফলন খুবই ভালো হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিক সঙ্করে কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!