• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে উত্যাক্ত করার অভিযোগ


শরীয়তপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ১১:৩৫ এএম
মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে উত্যাক্ত করার অভিযোগ

শরীয়তপুর: মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করা পরবর্তী ছবির উপর আই লাভ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উছেঠে মাহামুদপুর খাঁ পাড়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন পূর্বে শিক্ষকদের কক্ষে একা পেয়ে সহকারী সুপার নিজেই ওই ছাত্রীর ছবি স্মার্ট মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে হুমকি ধ্বমকি দেন সহকারী সুপার। ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর মা লিপি আক্তার।

লিখিত অভিযোগে লিপি আক্তার উল্লেখ করেছেন, আমি শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহামুদপুর খাঁ পাড়া গ্রামের কাতার প্রবাসী রফিকুল ইসলাম খানের স্ত্রী। আমার মেয়ে সাদিয়া আক্তার আফরিন মাহমুদপুর খাঁ পাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সে যথারীতি মাদরাসায় যায়। আমার মেয়ের ছবি ফেসবুকে প্রকাশের কয়েকদিন আগে শ্রেণী কক্ষে কোন শিক্ষক না যাওয়ায় আমার মেয়ে শিক্ষকের খোঁজে শিক্ষক মিলনায়তনে গিয়ে মাদরাসার সহকারী সুপার শাহ সেকান্দার মোল্যার নিকট বিষয়টি জানায়। তখন সহকারী সুপার শাহ সেকান্দার মোল্যা সেখানে একা ছিল। 

এই সুযোগে সে আমার মেয়ের ছবি তার স্মার্ট মোবাইল ফোনে ধারণ করে। আমার মেয়ে ছবি তুলতে নিষেধ করলে তাকে ধমক দেয়। আমরা এই বিষয়টি সাধারণ ভাবে মেনে নেই। পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার দেখি সহকারী সুপার শাহ সেকান্দার মোল্যা তার ফেসবুক আইডিতে আমার মেয়ের ছবির উপরে “আই লাভ” লিখে আপলোড দেয়। তা এক মূহুর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মাদরাসার সুপার আনোয়ারুল হককে জানাই। সুপার সহকারী সুপারের ফেসবুক থেকে আমার মেয়ের ছবি সরিয়ে নেয়। এই ঘটনা ঘটার পরে আমার মেয়ে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এখন আমার মেয়ে মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

আমার শ্বশুর পরিবার এই মাদরাসার জন্য জমি দিয়েছে। মাদরাসার সকল উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকে তাই আমার মেয়ের নিরাপত্তার জন্যই এই মাদরাসায় ভর্তি করেছি। এই বছর সে নবম শ্রেনীতে পড়ে। সেখানে মাদরাসার শিক্ষক দ্বারা আমার মেয়ে লাঞ্ছিত হয়েছে। সহকারী সুপার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় এই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমার পরিবারকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধ্বমকি দিয়ে যাচ্ছে। সে লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়েও গত বৃহস্পতিবার বিকালে হুমকি দিয়েছে। এই সহকারী সুপার একজন বিবাহ রেজিস্ট্রার। এই পর্যন্ত তিনি একাধিক বিয়ে করেছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। আমার মেয়ের সাথে এই ধরনে আচরণ কারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। 

এই বিষয়ে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন মাদবর বলেন, এমন একটি ঘটনার কথা শুনে সুপারসহ সকল শিক্ষকদের সমন্বয়ে মিটিং করি। সেখানে দেখা যায় সহকারী সুপার শাহ সেকান্দার মোল্যার ফেসবুক আইডি থেকে ওই মেয়ের ছবি আপলোড হয়েছে। বিষয়টি চক্রান্তমূলক হতে পারে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

অভিযুক্ত সহকারী সুপার শাহ সেকান্দার মোল্যা বলেন, ওই এলাকায় আমার পক্ষে বিপক্ষে লোকজন করয়েছে। কেউ শত্রুতা করে আমার মোবাইল ফোন থেকে এই ছবি ফেসবুকে ছাড়তে পারে। আমি নতুন স্মার্ট ফোন নিয়েছি তাই এই বিষয়ে আমি ভালো বুঝি না। কেউ সেই সুযোগ গ্রহণ করেছেন। 

সোনালীনিউজ/আরএইচআর/এসআই

Wordbridge School
Link copied!