• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মানুষ যেন খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২, ২০২০, ০৫:৩৩ পিএম
মানুষ যেন খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ঢাকা: মানুষ যেন খেয়ে-পরে যাতে বাঁচতে পারে সেজন্যই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে শেরে-ই বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির- একনেক বৈঠকের শুরুতেই এই কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এরকম দিন থাকবে না। আমরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারব। সেভাবেই আমাদেরকে সবাইকে নিজ নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখে কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হবে। দেশের মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেটা দেখতে হবে। আমরা দেশের অসহায় মানুষের কথা বেশি চিন্তা করি।’

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনাগুলো, অর্থাৎ যেগুলো বন্ধ ছিল সেগুলো কিছুটা উন্মুক্ত করেছি। এ কারণে এগুলো উন্মুক্ত করেছি যে খেটে খাওয়া, দিন এনে দিন খাওয়া, সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত প্রত্যেকে তাদের জীবনযাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারে, সচল রাখতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির যে গতি পেয়েছিল, করোনাভাইরাস আসার পর তাতে স্থবিরতা এসে যায়। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী এই অবস্থা চলছে। সারাবিশ্ব বলতে গেলে স্থবির। সব জায়গায় এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। আমরাও তার থেকে বাইরে নেই।’

সবকিছু খোলা থাকলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে বলব, স্বাস্থ্যবিধি যেগুলো দেওয়া হয়েছে, আমাদের সবাই সেটা মেনে চলবে, সেটাই আমরা চাই। তাই যারাই যে কাজই করেন না কেন, চলাফেরাসহ সবকিছুতেই যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন।’

প্রধানমন্ত্রী‘যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, সেটা মেনেই আমাদের চলতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ তারা যেন সুরক্ষিত থাকে। মনে রাখতে হবে নিজের সুরক্ষা মানে অপরকে সুরক্ষিত করা। আমরা সবাই নিজের পরিবার এবং নিজের সহকর্মীসহ সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব, এটা হবে আমাদের সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে অর্থনীতিতে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, তাতে আমাদের আশা ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ২০২০ সাল বা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই আমরা আমাদের দারিদ্রের হার কমিয়ে এনে বাংলাদেশকে একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাব। কোভিড-১৯ এর কারণে সেই গতিশীলতা কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। তবে মনে করেন, এরকম দিন থাকবে না। আমরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারব।’

সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় একনেক বৈঠক। এ সময় কোভিড-উনিশের জরুরি পরিস্থিতিতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী, সচিবসহ নীতিনির্ধারকরা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!