• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মামীকে হত্যার পর ভাগ্নের আত্মহত্যা


বগুড়া প্রতিনিধি মে ১৬, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম
মামীকে হত্যার পর ভাগ্নের আত্মহত্যা

বগুড়া : জেলার শিবগঞ্জে মামীকে হত্যার পর ভাগ্নে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত আলেয়া বেগম (৩৫) এবং আত্মহননকারী ভাগ্নে আপেল মিয়ার (২১) লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে।

নিহত আলেয়া বেগম ভাগকোলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। অপর দিকে আপেল মিয়ার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পেশায় কাঠ মিস্ত্রি আপেল মিয়া তার নানার বাড়িতে বসবাস করতো। ক’দিন ধরে তার সঙ্গে আলেয়া বেগমের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দু’জন তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আপেল তার কাছে থাকা কাঠ কাটার ধারালো বাটাল দিয়ে মামী আলেয়া বেগমকে এলোপাথারী আঘাত করে। এতে তার কান, বুক ও পেটে গুরুতর জখম হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে আপেল মিয়া নানার বাড়ি থেকে  কিছুটা দুরে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি পরিত্যক্ত ভবনে গিয়ে ধারালো সেই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে এলোপাথারী আঘাত করে। এতে তার ভুড়ি বেড়িয়ে আসে। পরে সেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আপেল মিয়া তার মামী আলেয়া বেগমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তার মামী সেটি প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে শালিসও হয়েছিল। শালিসে আপেলকে নানার বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। মূলত তখন থেকেই আপেল তার মামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

তবে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রেম ঘটিত কোন ব্যাপার নয় মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে আপেল মিয়া প্রথমে তার মামীকে হত্যা করে। পরে সে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তিনি বলেন, খবর পাওয়ার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দু’জনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!