• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন প্রেসিডেন্টদের গোরস্থান


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬, ০৬:০০ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের গোরস্থান

সোনালীনিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার উইলিয়ামস বার্গে একটি ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যান আছে যা প্রেসিডেন্সিয়াল পার্ক মিউজিয়াম নামে সবার কাছে পরিচিত। উদ্যানটিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ জন সাবেক প্রেসিডেন্টের আবক্ষ ভাস্কর্য। এক একটা ভাস্কর্য দেখতে এতটাই বিধ্বস্ত যা দেখলে আপনার তাৎক্ষনিক হলিউডের কোন ভূতের সিনেমার গা শিউরে উঠা দৃশ্যের মতোই লাগবে নিঃসন্দেহে।

আবক্ষ ভাষ্কর্যগুলোর কোনটার নাক থেতলানো, কোনটার মাথা ফেটে গেছে। বহুদিন সংরক্ষনের অভাবে এগুলোর এমন বেহাল অবস্থা। প্রথম দেখায় জাদুঘরটিকে প্রেসিডেন্টদের গোরস্থান মনে করেও কেউ ভুল করবে না। ২০০৪ সালে এই ব্যাতিক্রমধর্মী জাদুঘরটি নির্মান করা হয়েছিল। এরপর জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০১০ সালে ভাষ্কর্যের এই জাদুঘরটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর ফের খুলে দেয়া হয় ভাস্কর্যের এই জাদুঘরটি।

দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার ফলে জাদুঘরটিতে এখনও লোকসমাগম তেমন নেই বললেই চলে। এর উপর অনেকদিন বন্ধ থাকার ফলে ভাস্কর্যগুলোর বেহাল অবস্থাতো আছেই। বেশকিছু ভাস্কর্যে ইতিমধ্যে ফাটল ধরেছে। এ প্রসঙ্গে জাদুঘরের মালিক জানান, ভাস্কর্যগুলো পুণরায় সংস্কার করে জাদুঘরটিকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। বর্তমানে ভাষ্কর্যটিতে যুত্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের আবক্ষ ভাষ্কর্য রয়েছে। এর মধ্যে বিল ক্লিনটন, আব্রাহাম লিঙ্কন, উইড্রো উইলসন, রোনাল্ড রেগ্যানের মতো বিখ্যাত সব সাবেক প্রেসিডেন্টদের নাম উল্লেখযোগ্য। বলা হচ্ছে যুগে যুগে এসব প্রেসিডেন্টদের নাম যেন সবাই মনে রাখে তাই এই ব্যাতিক্রমী ভাস্কর্যের জাদুঘর নির্মান।

খুব জলদিই জাদুঘরটিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত হওয়া প্রেসিডেন্টদের ফাষ্ট লেডিদেরও ভাস্কর্য নির্মানের কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হবে বলেও আশাব্যাক্ত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ সমাজ জাদুঘরে এসে সেই সব প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে যাদের নাম তারা কেবল শুনেছে কিংবা বইয়ের পাতায় পড়েছে কিন্তু আদৌ তাদের দেখার সুযোগ হয়নি। তবে এক্ষেত্রে শিশুরা বেশি উৎসাহী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভাস্কর্যের জাদুঘরটি নির্মান করতে প্রায় ৫০ হাজার ইউএস ডলারের মতো ব্যয় করা হয়েছিল। ভাস্কর্য নির্মানে ব্যবহার করা হয়েছিল বেশ দামি পাথর। তবে ভাস্কর্য জাদুঘরটি অন্য জায়গায় প্রতিস্থাপন করে খুব শীঘ্রই নতুন করে প্রচারণা চালিয়ে সবার কাছে জনপ্রিয় করে তোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!