• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফির কপালে ‘রাজটিকা’ দেখেছিলেন নানি


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮, ০৭:৫৭ পিএম
মাশরাফির কপালে ‘রাজটিকা’ দেখেছিলেন নানি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ক্রিকেট মাঠ ছেড়ে এখন নির্বাচনী ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ডাক নাম কৌশিক। নড়াইলে পরিবারের বাইরেও তিনি এই নামে পরিচিত। মাশরাফিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহও কম নয়। অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর চেয়েও খবরে নড়াইল এক্সপ্রেস গুরুত্ব পাচ্ছেন অনেক বেশি। সংবাদমাধ্যমগুলো এই সময় মাশরাফির নির্বাচনের খবর দিচ্ছে দেদার। তবে দেশের অন্যতম শীর্ষ নিউজ পোর্টাল সোনালীনিউজ নির্বাচনের বাইরেও মাশরাফির পারিবারিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবে। তারই ধারাবাহিকতায় পাঠকদের জন্য এই আয়োজন।

আপনি জানেন কি মাশরাফি যে বিশ্ব কাঁপাবে সেটা ছোটবেলাতেই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর নানি? হামিদা মুর্তজা মানে মাশরাফির মা। তাঁর কোলজুড়ে যে একজন রাজপুত্তুর আসবে-এই নিয়ে আগেই ভবিষ্যদ্ববাণী করেছিলেন নেপাল সরকার নামের এক ভদ্রলোক। হয়েছিলও তাই। মাশরাফির জন্মের পর নেপাল সরকার বলেছিলেন, ‘এই ছেলের ১৬ বছর পর্যন্ত জীবন-মৃত্যুর সংকট তৈরি হবে।’

অবশ্য ১৬ পেরোনোর পরপরই মাশরাফিকে চিনতে শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর বিশ্ব। মনে আছে তো ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপের কথা। জগন্নাথ হল মাঠে কুয়েতের বিপক্ষে তান্ডব চালিয়েছিলেন মাশরাফি। বল হাতে নয় ব্যাট হাতে। মাত্র ১৩ বলে খেলেছিলেন ৫২ রানের ইনিংস। এরপর আর নড়াইল এক্সপ্রেসকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

মাশরাফি যে কপালে ‘রাজটিকা’ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি প্রথম আবিস্কার করেছিলেন তাঁর নানি। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেননি। নানি সবসময়ই চেষ্টা করেছেন, মাশরাফির কপালে চিকচিক করার মতো যেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল সেটি আড়াল করতে। মাশরাফির নানি পেশায় ছিলেন শিক্ষিকা। কেন তিনি নাতির ‘রাজটিকা’ গোপন করতে চেয়েছিলেন তাঁর ব্যাখ্যা ‘মাশরাফি’ বইয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের মা হামিদা মুর্তজা বলাকা, ‘রাজটিকা দেখে লোকে তো ভাবে, ছেলে বড় কিছু হবে। সেই সঙ্গে সবার এমন কথাবার্তায় ভয় হয়। আরেকটা ব্যাপার হলো, এসব কথা শুনলেই পলান কাকার কথাটা মনে পড়ে। ছেলেটা হয় খুব খারাপ হবে, না হলে খুব ভালো হবে। আর যা-ই হোক, সে জন্য ষোলো বছর অন্তত বাঁচতে হবে ওঁকে।’

খুব খারাপ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় বুক কাঁপে মা আর নানির। আর বাকিদের বুকটা ভরে ওঠে রাজটিকার লক্ষণ দেখে। কেউ দেখতে পান মাশরাফি নানার মতো নামজাদা জনদরদি হবে। কেউ দেখতে পান, প্রপিতামহের মতো মুক্তিযোদ্ধা হবে। কেউ ভাবেন, বাবার মতো নামকরা খেলোয়াড় হবে। বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপন স্বপ্ন দেখেন- ছেলে তাঁর গায়ক হবে। আমরা কি দেখছি, গায়ক ছাড়া সবই হয়েছেন মাশরাফি। সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় কিছু। সত্যিই মাশরাফির কপালে রাজটিকাই দেখেছিলেন নানি।’

 সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!