• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিএনপিকে জাফরুল্লাহ

মায়াকান্না ছেড়ে আন্দোলনে নামুন


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম
মায়াকান্না ছেড়ে আন্দোলনে নামুন

ঢাকা : দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপিকে অহেতুক মায়াকান্না না করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ আখ্যায়িত করে তাকে মুক্ত করতে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দলটি কীভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শও দিয়েছেন বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন জাফরুল্লাহ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডি স্মরণে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আপনাদের যাই আছে দু’টি কাজ করতে পারেন। যাদের নামে গায়েবি মামলা দিয়েছে এই ১০ হাজার লোককে নিয়ে হাইকোর্টের ময়দানে বসেন। আরেকটা মহিলা দলের যারা আছেন আপনারা ভ্যানগাড়ি করে হলেও সারাদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’

পিলখানায় ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা হত্যা এবং চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৭০ জন নিহতের ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় নকল পণ্যের এবং তাদের একমাত্র অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা ছিল কেরানীগঞ্জ ও চকবাজার। আমি মনে করি ২০ ফেব্রুয়ারি এবং পিলখানা গণহত্যায় সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক গোয়েন্দা বাহিনী।’

পিলখানা হত্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের দ্রুত শাস্তি এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

অনুষ্ঠানে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘পিলখানা গণহত্যায় আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি। যার সিগন্যালে ঘটনাটি শুরু হবে তিনি স্টেইজে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পিলখানা হত্যায় জড়িত একটি দলের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পূর্বে আলাপ আলোচনাও হয়েছে। হয়তো তাদের সম্মতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনাটি অতি সহজে এভোয়েট করা যেত। শুরুতে যদি বিদ্রোহীদের একটি সতর্কবাণী দেওয়া হতো। এছাড়া সেনাবাহিনীর কোনো কিতাবে কোথাও নেই, বিদ্রোহ শুরু হলে এমপি-মন্ত্রীর সহায়তা চাওয়া। এ সময় সেনাবাহিনীর কাজ হবে বিদ্রোহ দমনের প্রচেষ্টা করা।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে অসমাপ্ত কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। সাধারণ বন্দীরা যেখানে সুবিধা পান না সেখানে তার নিরাপত্তা আমরা বোধ করছি না। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।’

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার জন্য আমরা অনেক আবেদন করেছি, কিন্তু সরকার পক্ষ করেনি। আমরাই ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করলাম। সারাদেশে ওইদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম. আমিনুর রহমান,  সাবেক সেনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান খান, এম সারোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, সাইদুল ইসলাম, আহম্মেদ ফেরদৌস, সৈয়দ এহসানুল হুদা, আজাদ মাহবুব প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!