• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিঠুন-সাইফউদ্দিনের সৌজন্যে বাংলাদেশের ২৩২


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯, ১১:০৭ এএম
মিঠুন-সাইফউদ্দিনের সৌজন্যে বাংলাদেশের ২৩২

ঢাকা: টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিদারুন ব্যর্থতার পরও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সম্মানজনক স্কোরই দাঁড় করিয়েছে। বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার আগে তুলতে পেরেছে ২৩২ রান। ১০০ রানের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশের স্কোর এতদূর অবধি এসেছে মূলত মোহাম্মদ মিঠুন আর অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সৌজন্যে। ফিফটি তুলে নিয়েছেন মিঠুন। মহামূল্যবান ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন সাইফউদ্দিন। বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৪৮.৫ ওভারে।

নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তকে অকার্যকর বানিয়ে ফেলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। টেন্ট্র বোল্ট আর ম্যাট হেনরিকে সামলাতেই তাদের গলদঘর্ম হতে হয়েছে। বাংলাদেশের টপ-মিডল অর্ডারের চার উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এই দুজন।

দলীয় মাত্র ৫ রানের মাথায় বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১০০ রান ওঠার আগেই চলে যায় ৬ উইকেট।

ব্যক্তিগত ১ রানে হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন দাস, দলের রান তখন ১৯। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার দলের আরেক ব্যাটিং স্তম্ভ-মুশফিকুর রহিম। দলীয় ৪২ রানের মাথায় মাত্র ৫ রান করে চলে যান তিনি। শুরুর ধাক্কা খানিকটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৩০ রানের ছোটখাটো একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে ৪২ রানের মধ্যে তিনিও চলে যান, হেনরির বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে।

এরপর শুরু হয় মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াই। কখনো যে লড়াইয়ে তাঁকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ, কখনো সাব্বির রহমান, কখনো মেহেদি হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির দুজনেই ‘অপয়া’ ১৩ রানে ফিরেছেন। মিঠুনকে সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বিপিএলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সটা তিনি টেনে নিয়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডেও। মিচেল সান্টনারকে অহেতুক মারতে না গেলে ২৭ রানের ইনিংসটা আরো লম্বা করতে পারতেন মিরাজ। ২৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় তিনি এই রান করেন। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের স্কোর ১৩১। এরপর সাইফউদ্দিনকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন মিঠুন। এই দুজন মিলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। যেখানে সাইফউদ্দিনের অবদান ৫৮ বলে ৪১।

তবে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিতে ভুল করলেন না মিঠুন। কঠিন পরিস্থিতিতে চোয়ালবদ্ধ লড়াই করলেন তিনি। ফার্গুসনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ৯০ বলে ৬২। চার মেরেছেন পাঁচটি। মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। সান্টনার ও বোল্ট নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ম্যাট হেনরি ও ফার্গুসন।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!