• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিতুর ‘স্পর্শকাতর’ তথ্য ফাঁস


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯, ১০:৫১ এএম
মিতুর ‘স্পর্শকাতর’ তথ্য ফাঁস

চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এসময় তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’ কিছু তথ্য দিয়েছেন পুলিশকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের জানান, তিন দিনের রিমান্ডে মিতু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে মিতু তুলে ধরেছেন, বিয়ের পরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তথা দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন নিয়ে নানা কথা। তবে ডা. আকাশের এমন মৃত্যু কামনা করেননি জানিয়ে তার মৃত্যু তাকে কষ্ট দিয়েছে বলে জানান মিতু।

জিজ্ঞাসাবাদে মিতু জানান, বিয়ের পরও আমেরিকায় অবস্থানকালে উত্তম প্যাটেল নামে এক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তিনি একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছেন। এর আগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিতু।

এর আগে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিন মিতু জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর শোভন নামে চুয়েটের এক ছাত্রসহ একাধিক ছেলেবন্ধু ছিলো তার। তবে মিতু তাদের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানালেও শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।

তবে শেষ দিনের রিমান্ডে তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম। জিজ্ঞাসাবাদে মিতু বিয়ের পর দু’জনের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল কাদের জানান, ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হলেও এখন পর্যন্ত শুধু মিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন- মিতুর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী ও মিতুর বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলম। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে মিতুর মা শামীমা শেলী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং উত্তম প্যাটেল আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে মিতুকে আদালতে সোপর্দ করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে মিতুকে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি ভোরে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে নিজ শরীরে ইনজেকশান পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে প্যাটেল, মাহাবুবসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন এবং তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!