• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তি এখন ধ্বংসস্তূপ


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৭, ২০১৯, ১১:২৮ এএম
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তি এখন ধ্বংসস্তূপ

ঢাকা : রাজধানীর মিরপুর-৭ এর চলন্তিকা মোড়ের তিন হাজার বসত ঘরের ঝিলপাড় বস্তি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বস্তির চারদিকে এখন শুধুই পোড়া গন্ধ। প্রায় তিন ঘণ্টার আগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়েছে বস্তিবাসী।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বস্তি পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুধু অবশিষ্ট রয়েছে পোড়া টিন। কোনো কোনো স্থানে এখনো অল্প অল্প ধোঁয়া দেখা গেছে। দূর থেকেই বাতাসে পাওয়া যায় বস্তির পোড়া গন্ধ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা বস্তিতে ঢোকার জন্য ২১ ফুটের যে রাস্তা ছিল তা রিকশার গ্যারেজ আর দোকানে ভরা ছিল। রোড ভাড়া দিয়ে মাসিক টাকা নিতেন এলাকার প্রভাবশালীরা।

তাদের দাবি, অন্তত ভেতরে প্রবেশের রাস্তাটি ফাঁকা থাকলে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ভেতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারত। অন্তত কিছু ঘর রক্ষা করা যেত। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় পানি সংকটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়। পরে বস্তির আশেপাশের বাসাবাড়ির রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ওয়াসার গাড়ি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হয়।

অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে বস্তিবাসী খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। বৃষ্টি শুরু হলে কেউ কেউ আশপাশের বাসা-বাড়ির গ্যারেজে ডেকে নেন তাদের। তবে বৃষ্টিতে ভিজে খোলা আকাশের নিচে রাত পার করেছেন অনেকে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কুলসুম, মনি, রমিজ উদ্দিন সহ অনেকে সোনালীনিউজকে বলেন, ‘আগুন লাগার পর দৌড়ে  জান বাঁচাতে সবাই বেরিয়ে আসি। গায়ের কাপড় ছাড়া কিছুই আনতে পারিনি। আমার সব শ্যাষ গো ভাই।  রাইতে রাস্তায় ঘুমাইছি। পরে এক বাড়িওলা তাদের গ্যারেজে ডাইক্কা নিছে। পরের বাসায় কাজ করি। অহন কই থাকমু বুঝতেছিনা।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে আহত হয়েছেন চারজন।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!