• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিরাজ-মাশরাফি পারেন, বাকিরা কী করলেন?


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮, ০৯:৩১ এএম
মিরাজ-মাশরাফি পারেন, বাকিরা কী করলেন?

ঢাকা: আফগানিস্তান ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তরুণদের কাছে আরও একটু ভালোর প্রত্যাশা করেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই দুই তরুণ ওপেনার কি ভালো করবেন উল্টো দলকে বিপদে রেখে বিদায় নিলেন। লাগাতার ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন লিটন দাস। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান উঠতেই তিনি ফিরে গেছেন ভুবনেশ্বর কুমারের বলে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার আগে করতে পারলেন মাত্র ৭।

ঢাকা প্রিমিয়ারের সুপার লিগে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিম ইকবালের জায়গায় সুযোগ পাওয়া এই তরুণকে নিয়ে ছিল তাই অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু পর পর দুটি ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে তফাৎটা বোঝালেন। লিটন আগের ওভারে আউট হওয়ার পরের ওভারেই তাঁকে অনুসরণ করে বুমরাহর বলে ধাওয়ানকে শান্ত (৭)।

ম্যাচের বয়স তখন ৫.১ ওভার। দুই ওপেনার লিটন-শান্ত নেই। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দিলেন মুশফিকুর রহীম। আফগানিস্তান ম্যাচ বিশ্রামে ছিলেন মুশফিক। সাকিব ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনে ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারলেন না। এক বছর পর ভারতীয় দলে ফেরা রবিন্দ্র জাদেজার বলে ক্যাচ দিলেন ধাওয়ানের হাতে। শেষ হলো সাকিবের ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংসটি। এর মধ্যে তিনি চারই মেরেছেন তিনটি।

৪২ রানে সাকিবের বিদায়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন মুশফিক। জাদেজার বলে দলীয় ৬০ রানে ফিরে গেছেন মিঠুন (৯)। পরের ওভারে এসে জাদেজা ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের বড় ভরসা মুশফিককেও (২১)। পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ৫১ বলে ২৫ করে ভুবনেশ্বরের বলে এলবিডব্লু হন মাহমুদউল্লাহ।  

মোসাদ্দেক (১২) ফিরেছেন জাদেজার বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০১ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর মনে হচ্ছিল দেড় শ রানের গণ্ডি পেরোতে পারবে না বাংলাদেশ। শেষ অবধি সেটি সম্ভব হয়েছে মাশরাফি-মিরাজের অষ্টম উইকেটে ৬৬ রান যোগ করার বদৌলতে। ১৬৭ রানে আউট হওয়ার আগে মাশরাফির ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ বলে ২৬ রানের ইনিংস। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের তিনি লজ্জাই দিয়েছেন।

ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান যে মাশরাফির। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন নয় নম্বর ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজ। বলা চলে বাংলাদেশকে একটু ভালো জায়গায় তিনিই নিয়ে গেছেন। অথচ টপ অর্ডারের কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। কিভাবে ব্যাটিং করতে হয় সেটি যেন ৫০ বলে দুই চার-ছক্কায় ৪২ রান করে মিরাজ বুঝিয়ে দিলেন। মিরাজ দাঁড়াতে না পারলে ৪৯.১ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১৭৩ রানও হতো না। ২৯ রানে জাদেজা ৪টি এবং বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর যথাক্রমে ৩৭ ও ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!