• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জা ফখরুলের ভিডিও বার্তা নিয়ে বিতর্ক তুমুল


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮, ১১:১১ এএম
মির্জা ফখরুলের ভিডিও বার্তা নিয়ে বিতর্ক তুমুল

ঢাকা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লাইভ এবং বিএনপি সমর্থকদের কিছু ফেসবুক পেজে প্রচার করা ওই ভিডিওতে মির্জা ফখরুল মুক্তিযুদ্ধের সময় তার মতো তরুণদের ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করে এখনকার তরুণদের ৩০ ডিসেম্বর ‘সকাল সকাল’ ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুরু এবং শেষে ধানের শীষ প্রতীকের ছবিসহ বাংলা অক্ষরে ওই প্রতীকে ভোটের আহ্বান জানানো ভিডিওতে মির্জা ফখরুল তরুণদের উদ্দেশে বলেন, ‘তারা যে কাউকে ভোট দিতে পারে, কিন্তু তারা যেনো ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায় এবং ‘ভোট ডাকাতি’ ঠেকিয়ে দেয়।’ ভিডিওটি বিএনপি সমর্থক পেজে আপলোড হওয়ার পর বিএনপিপন্থী এবং বিএনপিবিরোধী দু’পক্ষ থেকেই তা শেয়ার করা হচ্ছে। এর বাইরেও অনেকে ভিডিওটি শেয়ার করছেন।

সবগুলো পোস্ট এবং শেয়ারে যেমন ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক চলছে, তেমনি মূল পোস্টেও কমেন্ট করে অনেকে বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। তার মধ্যে যেমন মির্জা ফখরুলের পক্ষে মন্তব্য আসছে, তেমনি তার বিরুদ্ধেও।

ইশরাক হাসান পারভেজ নামে একজন লিখেছেন: প্রত্যেকের ব্যক্তিগত মতাদর্শকে সম্মান করা উচিত।  রাজনীতির বাইরে থেকেও আমার কাছে এই মানুষটির শব্দচয়ন, মার্জিত সদালাপী, সত্যিই ঈর্ষণীয়!

আলী হোসেন নামে আরেকজনের মন্তব্য: একজন রাজনীতিককে এমন পরিশীলিত ভাষায় কথা বলতে হবে! আমি বিএনপির সমর্থক নই, কিন্ত আপনার উন্নত মার্গের মার্জিত রুচির এই ভাষণকে শ্রদ্ধা জানাই অকুণ্ঠ চিত্তে!

তবে, কিছু প্রশ্ন তুলে খন্দকার আহমেদ নামে একজন লিখেছেন: ছোট্ট প্রশ্নদাবি করছেন মুক্তিযোদ্ধা, বলছেন পাঞ্জাবী, পাকবাহিনী নয় কেন?? এতদিন ছিল পাকবাহিনী আজ হয়ে গেল ‘পাঞ্জাব’... পাঞ্জাব কিন্তু পুরো পাকিস্তান নয়- এখানে কি ইতিহাস বিকৃত করা হয়নি!

“মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, এখনও কেন জামায়াতকে রেখেছেন সাথে, আবার অন্যদিকে নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের কিছু নিবেদিত প্রাণ মানুষকে... জনগণের সেবা, নাকি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই এ ধরনের ‘ইমোশোনাল’ কথা বলা ‘জামায়াত কে না বলুন, না বলতে শিখুন’... শুভ কামনা,” এভাবেই তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

নুসরাত ফাতেমা নামের একজনের মন্তব্য: অতীব দুঃখের কথাটি হচ্ছে তার পরিচয় তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন প্রথম সারির নেতা। যে দলটি সিম্পলি বন্দুকের নল বিচারপতি সায়েমের কপালে ঠেকিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, যে দলটি ৭৭ থেকে ৮১ শুধু শত শত মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং এই দেশটিতে মৌলবাদীদের বীজ বপন করে দিয়েছে।... যত সহজে মির্জা সাহেব গণতন্ত্র শব্দটি বার বার উচ্চারণ করেছেন, বোধকরি গণতন্ত্র শব্দটি মির্জা সাহেবের জন্য ততটা স্বস্তিকর নয়। গণতন্ত্রের নাম করে বিরোধী পক্ষের নেত্রীকে আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে হত্যা করবার চেষ্টা আর নগরের মোড়ে হাওয়া ভবন বানিয়ে চাঁদা আদায় করবার রশিদ মীর্জা সাহেবের চোখ মুখে যে সেঁটে রয়েছে, সেটি কি তিনি অনুভব করতে পারেন?

ফয়সাল আজিজ নামে একজন লিখেছেন: অথচ, তিনি (মির্জা ফখরুল) সৎ সাহস রেখে বলতে পারেননি, তরুণদের ভোট মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে হোক, যদিও তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন, কালক্রমে তিনি বিএনপি করেন, তেমনি কালক্রমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধ এখন তার হৃদয় থেকে হারিয়ে গেছে, কারণ যেকোন মূল্যে ক্ষমতা চাই, কিন্তু তিনি যে স্বপ্নের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন সেই স্বপ্ন বারবার ভেঙে দেয় তারই দলের অন্যতম মহানায়ক তারেক রহমান।
মূল পোস্টে এরকম পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য ছাড়াও শেয়ারগুলোতেও তুমুল আলোচনা চলছে।

প্রবাসী ডাক্তার সজল আশফাক ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন: মাত্র তিন মিনিট দশ সেকেন্ড। একজন রাজনীতিবিদ অন্ধকারে এ কোন আলো জ্বেলে দিয়ে গেলেন! মাত্র তিন মিনিট দশ সেকেন্ড! তারপর কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য ভাবনায়! এই লোক বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতা? বিশ্বাস হয়!! এটা মানতে হবে!!! অসুরের মাঝে এ কোন মানবিক সুরের মূর্ছনা!!! মাত্র তিন মিনিট দশ সেকেন্ড!

তার পোস্টেই আরেক চিকিৎসক আব্দুন নূর তুষারের মন্তব্য: এজন্যই ২২ জন জামাতীকে সাথে নিয়ে ধানের শীষ দিয়ে নির্বাচন করছেন। যারা দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ চায় নাই, তাদের সাথে নিয়ে!

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!