• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুজিববর্ষে জাতির পিতার রচনা পাঠ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৯, ২০২০, ০৩:৪০ পিএম
মুজিববর্ষে জাতির পিতার রচনা পাঠ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে

ঢাকা : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোকদিবস দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত গ্রন্থসমূহকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে যে পাঠ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে একটি নতুন, সৃজনশীল ও প্রশংসনীয় কর্মসূচি। প্রাথমিকভাবে ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ১৫০জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ পাঠ কার্যক্রমকে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ৮০০টি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর গুলিস্তানস্থ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোকদিবস ২০২০ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর লেখা তিনটি গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'কারাগারের রোজনামচা', ও 'আমার দেখা নয়াচীন' এর ওপর "পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই" শিরোনামে ঢাকা মহানগরের ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চার মাসব্যাপী পাঠ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকর্ষণ করে, তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকর্ষণ করে। এটি আমাদের জ্ঞান উদ্দীপ্ত আলোকিত পথের সন্ধান দেয় এবং মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। পারিবারিক লাইব্রেরি স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় ১০০টি বই ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুক শেল্ফ বা শোকেজ সরবরাহের মাধ্যমে ১০টি আদর্শ পারিবারিক লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা ছড়িয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান। 

কে এম খালিদ বলেন, সাধারণত সেলুনে যাওয়া মানুষজন হাতের সামনে পাওয়া বই-পুস্তক, পত্রিকা কিংবা কাগজপত্র উলটেপালটে দেখে বা পড়াশোনা করে। সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রচিত তিনটি বই সরবরাহের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সেলুন লাইব্রেরি চালু করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী লালমনিরহাট জেলার একটি সেলুন লাইব্রেরির উদাহরণ তুলে ধরেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক মফিদুল হক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস ও অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন। বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের পক্ষ হতে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ ও সীমান্ত পাঠাগারের প্রতিনিধি মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট। স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি ও সাংবাদিক মিনার মনসুর। 

সোনালীনিউজ/এএস 

Wordbridge School
Link copied!