• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিববর্ষের নামে চাঁদাবাজির দোকান খোলা যাবে না


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৩:১৭ পিএম
মুজিববর্ষের নামে চাঁদাবাজির দোকান খোলা যাবে না

ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন ‘মুজিববর্ষ’কে কেন্দ্র করে কোনো চাঁদাবাজির মতো কোনো অনৈতিক কর্মকান্ড সহ্য করা হবে না বলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে এ কথা বলেন তিনি বলেছেন, নেত্রী স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিববর্ষের নামে যে তোড়জোর দেখছি, চাঁদাবাজির দোকান যেনো না হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা একটা কথা পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিববর্ষ উদযাপন করবেন একটা নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে। মুজিববর্ষ পালন করার নামে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না। নেত্রী স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিববর্ষের নামে যে তোড়জোর দেখছি, চাঁদাবাজির দোকান যেনো না হয়। বঙ্গবন্ধুকে তাহলে আরো ছোট করা হবে।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঔজ্বল্ল বাড়াতে এসব চাঁদাবাজির দোকান খুলে বঙ্গবন্ধুর মহিমাকে বড় করা যাবে না। কাজেই এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, জেলায় জেলায় আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দলীয় ও সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আপনাদের প্রোগ্রাম সাজাতে হবে।

যেখানে সেখানে যত্রতত্র চাঁদাবাজি করে বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিববর্ষের একটা দোকান খোলা হবে, এটা কেউ অ্যালাউ করবেন না। কোনো অবস্থা অনিয়ম বিশৃঙ্খলাকে মদদ দেয়া যাবে না। যারা এগুলো করবে তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিতে হবে, বলেন তিনি।

এ সময় নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে সততার আলোকে নিজেকে পরিশুদ্ধভাবে বিকশিত হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

আগামী এপ্রিল থেকে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করার কতা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেখানে কমিটি হয়ে গেছে সেসব জায়গায় কমিটি দ্রুত পূর্নাঙ্গ করতে হবে। কমিটিতে নিজের দল ভারী করতে ত্যাগীদের উপেক্ষা সুবিধাবাদীদের দলে না ভেড়াতে সতর্ক করে দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ত্যাগী ও যোগ্যদের দলে পদ দেবেন। সংগঠনের স্বার্থ দেখবেন। সুবিধাবাদীদের বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

দলের অভ্যন্তনে নিজেদের মধ্যে বিভেদ বাড়িয়ে দলকে দুর্বল করা যাবে না। সেটি দল ও সংগঠনের জন্য ভালো হবে না। দল বিতর্কিত হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। দলের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রেখে দলকে শক্তিশালী করা যাবে না। নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়নেরজন্য দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দল শক্তিশালী হলে সরকার শক্তিশালী হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!