জবি : বিকল্পধারার সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) মান্নানসহ স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের একাংশ।
রোববার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে নীলদলের ব্যানারে মূলত উপাচার্যপন্থী নামেই খ্যাত এ অংশের শিক্ষকরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে টেলিভিশন টকশোতে ‘রাজাকার এবং স্বাধীনতাবিরোধী’ বলে মন্তব্য করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানোর প্রেক্ষিতে এ মানববন্ধন করেছে শিক্ষকদের একটি অংশ।
মানববন্ধনে নীলদলের এ অংশের সভাপতি অধ্যাপক জাকারিয়া মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, শুধু একজন মান্নান নয় বরং সকল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এ মানববন্ধন।
এদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারী সকল অপশক্তির শাস্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, একজন রাজাকারকে রাজাকার বলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক ও একজন প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে যা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অনতিবিলম্বে মেজর মান্নানের অপকর্মের শাস্তি দাবি করছি।
এ সময় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে মেজর মান্নানকে পুনরায় রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেন, এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর তীব্র প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মিয়া, জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ, নীল দলের এ অংশের সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এদিকে, নীল দলের নামে ব্যানার করে জবির উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নীল দলের অপর অংশ। এ বিষয়ে নীলদলের অপর অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা গঠনতন্ত্র অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত নীলদল। আমাদের না জানিয়ে সংগঠনের নাম ব্যাবহার করে ক্যাম্পাসে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করা মোটেই সমীচীন হয়নি। তবে এ সময় তিনিও স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রের শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৮ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের পক্ষে এ আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :