• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেসির দেশকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিল ভারত, আর বাংলাদেশ…


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ৬, ২০১৮, ০৯:৫১ পিএম
মেসির দেশকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিল ভারত, আর বাংলাদেশ…

ঢাকা: এই তো কয়েক বছর আগেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেলত বাংলাদেশ। তাদেরকে হারানো কঠিন ছিল না। কিন্তু দিন যত গিয়েছে ভারতের ফুটবল তর তর করে এগিয়েছে। আর বাংলাদেশের ফুটবল তিমিরে ডুবেছে। এখন ভারত তো দূরের কথা, ভুটানের সঙ্গেও হারে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংরকিং দেখলে বাংলাদেশকে নিয়ে এদেশের মানুষের আফসোসের শেষ থাকে না। অথচ ফুটবল নিয়ে এদেশের উন্মাদনার কথা জানা হয়ে গেছে গোটা বিশ্বের। কিন্তু তাতে লাভ কী? কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না।

প্রতিবেশী দেশ ভারত যখন আর্জেন্টিনার মতো দলকে হারাচ্ছে তখন বাংলাদেশ নিভৃতে কাঁদছে! আজ তো বাংলাদেশেরও এমন জয় পাওয়ার কথা ছিল। এখন ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যেন স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছে। আর ভারত নতুন ইতিহাস লিখল। রোববার রাতে ভারত কোটিফ কাপের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। এই জয়ের অন্য মাহাত্ম্যও রয়েছে। ৫৪ মিনিটে জঘন্য ফাউল করে অনিকেত যাদব লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান। বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছিল ভারতকে। ১০ জন নিয়ে খেলেও আর্জেন্টিনাকে হারানো বলেই এই জয় অন্য মাত্রা পেয়েছে।

আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই দলের কোচ হলেন ২০০৬ বিশ্বকাপ দলে থাকা লিওনেল স্কালোনি ও সাবেক তারকা পাবলো আইমার। ভারতের যুব দলের কৃতিত্ব সেজন্যও বেশি। তার চেয়েও বড় কয়েকদিন আগেই স্কালোনি ও আইমারকে লিওনেল মেসিদের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় যুবরা প্রথম দুই ম্যাচে মার্সিয়া (০-২) ও মৌরিতানিয়ার (০-৩) বিরুদ্ধে হেরেছে। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নামার আগে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ভারত। টুর্নামেন্টে এটাই ভারতের প্রথম জয়।  

ভারতের দুই গোলদাতা হলেন দীপক টাঙ্গরি ও আনোয়ার আলি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করেন দীপক। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের হাত থেকে বল পিছলে যায়। শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় আক্রমণের ঝড় চালিয়ে যায় ভারত। কিন্তু গোল আসেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অধিনায়ক আমরজিত্ সিংয়ের পাস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আনোয়ার আলি। তাঁর শট আটকে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। বিরতির দশ মিনিটের মধ্যে অভিষেক লাল কার্ড দেখেন। আর্জেন্টিনা সেই সুযোগে ক্রমাগত আক্রমণ শানাতে থাকে। ভারতীয় গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল বেশ কয়েকবার পতন রোধ করেন। ৬৮ মিনিট ফ্রি-কিকে আনোয়ারের অসাধারণ শটে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। রহিম আলিকে ফাউল করায় এই ফ্রি-কিক পেয়েছিল ভারত। আনোয়ারের শট গোলপোস্টের ধারে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।

চার মিনিট পর ব্যবধান কমায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু ভারতের যুব ফুটবলাররা লড়ে যান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত  এবং জয় ছিনিয়ে আনেন। ভারত বয়সভিত্তিক দলগুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কারণেই এরকম ফল পেল। তারা যে ভবিষ্যতে বিশ্বকাপেও খেলতে পারে এই জয় তারই আগমনী বার্তা। সেরকম হলে বাংলাদেশের আফসোসের সীমা থাকবে না। তখন কেবলি মনে হবে একদা আমরা ভারতে হারাতাম! আর আজ কোথায়….!

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!