• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেয়েকে ধর্ষণ করে আত্মহত্যার প্ররোচণা, বাবা...


লালমনিরহাট প্রতিনিধি এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ১০:১৫ পিএম
মেয়েকে ধর্ষণ করে আত্মহত্যার প্ররোচণা, বাবা...

লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় পালক মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে ইয়াকুব আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। ইয়াকুব আলী উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের নাসির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, দুই মেয়েসহ বিধবা মিনু বেগমকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন ইয়াকুব আলী। বিয়ের পর এক মেয়ের বিয়ে দেন এবং অপর মেয়ে (১৬) ও স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন ইয়াকুব আলী।

গত ২০ এপ্রিল রাতে স্ত্রী মিনু বেগমকে মারধর করে সজ্ঞাহীন করে সে। এ সময় লম্পট বাবা ইয়াকুব আলী পাশের রুমে মেয়ে বিথি আক্তারকে ধর্ষণ করে। মিনু বেগমের জ্ঞান ফিরলে মেয়ের কান্না শুনে কারণ জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর না দিয়ে কীটনাশকপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ওই রাতেই বিথির মৃত্যু হয়।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। মর্গের চিকিৎসকরা অবিবাহিত মেয়ের আত্মহত্যার পেছনে ধর্ষণের আলামত পেয়ে সিআইডিতে প্রতিবেদন পাঠান। রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিআইডি পাটগ্রাম থানাকে শনিবার চিঠি পাঠিয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে মামলা নিতে বলেন।

এ রিপোটের প্রেক্ষিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মৃত বিথি আক্তারের বাবা ইয়াকুব আলী ও মা মিনু বেগমকে রোববার (২৮ এপ্রিল) থানায় ডেকে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে বিথির মা মিনু বেগম মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে স্বামী ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সন্ধ্যায় ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পাটগ্রাম থানার ওসি মনছুর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মগের রিপোর্ট ও মৃত মেয়ের মায়ের অভিযোগে তার পালক বাবা ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  সেই সঙ্গে গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!