• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ের সঙ্গে ‘অশ্লীলতা’, যা বললেন অভিনেতা


বিনোদন ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৬:০২ পিএম
মেয়ের সঙ্গে ‘অশ্লীলতা’, যা বললেন অভিনেতা

ঢাকা: অভিনয়শিল্পী মায়ের অভিযোগ, প্রথম পক্ষের মেয়েকে অশ্লীল ছবি দেখাতেন দ্বিতীয় স্বামী। অশালীন ইঙ্গিত করতেন ১৯ বছরের মেয়েকে দেখে। মাতাল হয়ে মারধরও করতেন। 

এ নিয়ে তোলপাড় ভারতের বিনোদন অঙ্গন। গত সপ্তাহে দ্বিতীয় স্বামী অভিনেতা অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভারতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। অভিযোগ, অভিনব মাতাল অবস্থায় ঘরে ফিরে মেয়ে পলক তিওয়ারিকে মারধর করেছেন। 

অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছেন। ২০১৭ সাল থেকে অভিনব নাকি পলককে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দেখাতে শুরু করেন। অভিনবকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পান অভিনব।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন অভিনেতা অভিনব কোহলি। শ্বেতা ও পলকের ওপর পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে অভিনবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিনব বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি ঘটনার দুটো দিক রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তাই। ক্রমশ বিষয়টি প্রত্যেকের সামনে আসবে।’

এর আগে অভিনবর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়ে পলক তিওয়ারি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে কখনোই নির্যাতন করেননি অভিনব কোহলি বা আপত্তিকর স্পর্শও করেননি। তবে তিনি ধারাবাহিকভাবে আমাকে অশ্লীল কথা বলতেন, বাবা হিসেবে যা একেবারেই অশোভনীয়।’

প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১৩ সালে অভিনব কোহলির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ‘কৌসুতি জিন্দেগি কি’ অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁদের ঘরে রয়েছে এক পুত্রসন্তান। আর শ্বেতা-রাজার কন্যাসন্তান পলক তিওয়ারি।

এর আগে পলক তিওয়ারির বাবা অভিনেতা রাজা চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, তিনি একবার শ্বেতা-অভিনবর মালাডের বাড়িতে যান মেয়ে পলকের সঙ্গে দেখা করতে। আর সেখানেই অভিনবর অশ্লীলতা তাঁর চোখে পড়ে। মেয়েকে অশ্লীলভাবে ছোঁয়ার অভিযোগে ওই দিন অভিনবর সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয় এবং শেষে তা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছায়।

অন্যদিকে, অভিনব কোহলির মা বলেছেন, পুত্রবধূ শ্বেতা তিওয়ারি বিচ্ছেদ চাইছেন। অভিনব তাঁদের সন্তানের কথা ভেবে দিতে চাইছেন না। তাঁর ছেলে নির্দোষ।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!