• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোসাদ কানেকশান নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৭, ২০১৬, ০৪:৫৬ পিএম
মোসাদ কানেকশান নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার

‘মোসাদ কানেকশান’ নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। কারণ দুনিয়াব্যাপী নানা কুকর্ম করে বেড়ায় মোসাদ নামক ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কোন কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই সেদেশের সরকার বা কোন নেতার সাথে কোন সম্পর্ক বাংলাদেশের কারো থাকতে পারেনা। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির এক নেতার সঙ্গে বৈঠকের খবরে আলোচনায় থাকা বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে প্রথমে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বলার পর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করেছে। সরকার উৎখাত চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি পত্রিকায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ভারতে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সেই সাক্ষাতের খবর ও ছবি প্রকাশিত হয়। দিল্লিতে ডেল-আভিভ শীর্ষক ওই সম্মেলন এবং মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ফেইসবুক পেইজেও দেখা যায় তাদের একাধিক ছবি। আসলাম চৌধুরী ইতোমধ্যে তার দিল্লি সফর ও ওই ছবির সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, তিনি তখন জানতেন না যে মেন্দি এন সাফাদি ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা। আর ওই সফর ছিল তার ব্যক্তিগত, দলীয় বিষয় নয়। তবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের ‘ষড়যন্ত্রের’ লক্ষ্যে ওই বৈঠক হয়েছিল অভিযোগ করে আসলাম চৌধুরীসহ সংশ্লিদের গ্রেপ্তার দাবিকরেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির যোগাযোগ তাদের জন্য ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিন দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান। এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সতর্ক করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকা বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পর্যন্ত দেয়নি। ঐদেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। আসলামের বিষয়ে খবর প্রকাশের পর মির্জা ফখরুল ফিলিস্তিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন বলে জানান রামাদান। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির দুজন নেতা  বলেছেন, মোসাদের সঙ্গে তাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ওই ‘গোপন বৈঠকের’ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করেও মোসাদের সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ নাকচ করেছেন। আসলাম চৌধুরী ব্যক্তিগত সফরে ভারত গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর ফিলিং স্টেশন, আবাসন ও জাহাজ ভাঙার ব্যবসা রয়েছে। এবারই প্রথম তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে এসে যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন ।

ভারতের সাথে ইসরাইলের কুটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই ভারতে ইসরাইলের লোকজনদের যাতায়াত বা অবস্থান রয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেয়ে ইসরাইলি সরকার বা অন্য কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করাটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাই মেন্দির সাথে আসলাম চৌধুরীর কথা বলা ছবি তোলাও সম্ভব হযেছে। এখন প্রশ্ন জাগে তারা কি কি বিষয়ে কথা বলেছেন, আর দুজনের সম্পর্কটাই বা কতটুকু গভীর। আমাদের দেশের বা সরকারের বিরুদ্ধে তারা কোন ষড়যন্ত্র করেছে কিনা- সেটাও বের হয়ে আসবে আশা করি। যদি কোন ষড়যন্ত্র হয়েই থাকে তবে তার সাথে আর কে কে জড়িত তা ও দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে। দলীয়ভাবে বিএনপি সেই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত কিনা তাও স্পষ্ট হওয়া দরকার। কোন কিছুই অন্ধকারে থাকা উচিত নয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা

Wordbridge School
Link copied!