• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে স্কুলছাত্রীর মুত্যু নিয়ে তোলপাড়


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জুলাই ১১, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম
মৌলভীবাজারে স্কুলছাত্রীর মুত্যু নিয়ে তোলপাড়

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কুলসুমা বেগম তাসলিমা (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ৭দিন থেকে তোলপাড় চলছে। উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে প্রেমঘটিত কারণে পরিবারের লোকজনের হাতে নির্মমভাবে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন এলাকার মানুষ। উপজেলার বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা। তার জন্ম নিবন্ধন অনুসারে জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

স্থানীয় লোকজন জানান, ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় স্কুলের ইউনিফর্ম পরিহিত ও স্কুলব্যাগসহ তাসলিমা বরমচাল রেলস্টেশন সংলগ্ন কালামিয়ার বাজারের একটি বাসায় প্রেমিক নওমুসলিম আবদুল আজিজের (মুসলিম হওয়ার আগের নাম লিটন দাস) সঙ্গে দেখা করতে যায়।

বিষয়টি বাজারবাসীর সন্দেহ হলে গ্রামপুলিশ কয়ছর মিয়াসহ ব্যবসায়ীরা ওই বাসায় যান। বাসায় গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করার পর ব্যবসায়ীরা গ্রামপুলিশ কয়ছর মিয়াকে দিয়ে তাসলিমাকে মহলাল (রফিনগর) গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

মহলাল (রফিনগর) গ্রামের লোকজন জানান, সকালের ঘটনার পর বিকাল আনুমানিক ৫টায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির লোকজন তাসলিমাকে নিয়ে বেরিয়ে যান। রাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার ফেরত আসেন। আসার পর এলাকার মানুষকে তাসলিমার পরিবারের লোকজন জানান, তাসলিমার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (হার্ট অ্যাটাক) হয়ে মারা গেছে। পরদিন শুক্রবার এলাকায় মাইকিং করে সকাল ১১টায় দাফন করা হয়।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া এবং পুলিশকে অবহিত না করে তাসলিমার লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে তাসলিমার লাশ দেখা নারীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাসলিমার গালে একটা আচড় এবং গলায় আঙুল দেবে যাওয়ার চিহ্ন সুস্পষ্ট ছিল। লাশের ময়নাতদন্ত হলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাসলিমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে ওই নারীরা জানান।

তাসলিমার মৃত্যুর পর হতাশ আবদুল আজিজ আরও জানান, আমি হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছি তাসলিমার জন্য। তবে তাসলিমার বড়বোন ও হাবিবুর রহমান রাহাতকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর এসআই রফিক ও এসআই বাদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না। এখন ময়নাতদন্ত করতে হলে আদালতের নির্দেশে এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করতে হবে। তদন্তে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের কাছেও আবেদন করা সম্ভব হচ্ছে না।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!