• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মৌসুমের আগেই তরমুজ


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯, ০১:৩৯ পিএম
মৌসুমের আগেই তরমুজ

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে চাষিরা। এ উপজেলায় চলতি বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি চাষিরা। চলতি বছর তরমুজ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলানো যাবে বলে জানিয়েছে তারা। উন্নত যোগাযোগের কারণে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে জানান চাষিরা।

পাহাড়ি ঢলে জমিগুলোয় পলি পড়ার কারণে এ বছর জাদুকাটা নদীর তীরসহ ছোট-বড় কয়েকটি হাওরে তরমুজের চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে চাষিদের চোখে-মুখে যেন নতুন স্বপ্ন ফুটে উঠছে। জাদুকাটা নদীর পূর্ব তীরসহ হাওরজুড়ে চোখ জুড়ানো সবুজ ঘাসের বুকে এ যেন আলাহ নিজের হাতে গড়ে সাজিয়ে রেখেছে।

তরমুজ চাষি নিজাম উদ্দিন জানান, এবার ৯০ কিয়ার  (৩০ শতকে এক কিয়ার) জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। প্রতি কিয়ার জমিতে তরমুজ চাষে ব্যয় হয়েছে পাঁচ-সাত হাজার টাকা, আর প্রতি কিয়ারে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে পাচ্ছি ২০-২৫ হাজার টাকা। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা জমিতেই ট্রাক নিয়ে আমাদের কাছ থেকে তরমুজ কিনে নেওয়ায় আমাদের আর খরচ করে বাজারে যেতে হয় না। এ পর্যন্ত সাত লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পেরেছি। এ বছর আশা করি অর্ধকোটি টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করতে পারব।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঢালারপাড়, লামাশ্র, জঙ্গালহাটি, বিন্নাকুলি, মোদেরগাঁও, ছড়ারপাড় ও করিমপুর এলাকাকে ঘিরে জাঙ্গাল ও বুরবুরিয়া হাওরে ৩৮৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেছে।

দেশে বিভিন্ন জেলার তরমুজ চাষিদের বাজারজাতের পূর্বেই তাহিরপুরের তরমুজ চাষিরা সফল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে জাম্বু, ওরিয়ন, বাংলালিংক ও ড্রাগন জাতীয় বিদেশি তরমুজ বাজারে ছেড়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তরমুজ রোপণ ও ফলনের সময় টিএসপি, এমওপি, সুপার জিপসাম সার ফলনের পর জিংক মনো, ছত্রাকনাশক, মাকড়নাশক ও কীটনাশক ব্যবহার করে ছিলেন। সময়মতো হাইব্রিড জাতীয় বীজ পাওয়ায় পূর্বের চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে।

তরমুজ চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ১৮ কিয়ার জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ পাওয়ায় ও তরমুজে তেমন কোনো রোগবালাই না থাকায় এবং ভালো ফলন হওয়ায় খরচ বাদেও আমার প্রচুর টাকা লাভ হবে।

তাহিরপুর উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, কৃষকরা সময়মতো নানান জাতীয় হাইব্রিড বীজ পাওয়া, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুছ ছালাম জানান, কৃষকদের খরচ বাদ দিয়েও তারা দ্বিগুণ লাভবান হবেন। আমাদের জনবল সঙ্কট রয়েছে তারপরও আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে কৃষির ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করার জন্য।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!