ঢাকা : রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলের বারে বিল বাবদ প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করতেন। বাৎসরিক বৈধ আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ গত তিন মাসেই প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন। তিনি নারী সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। র্যাবের অভিযানে পর এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে পাপিয়া সম্পর্কে।
শামীমা নূর পাপিয়া নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন। এবার তাকে নিয়ে মুখ খুললেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যাপক অপু উকিল।
পাপিয়াকে নিয়ে অপু উকিল বলেছেন, এসব সমাজের কীটদের অপকর্মের দায় সংগঠন কখনোই নেবে না। একই সঙ্গে পাপিয়ার মতো আরও যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অপু উকিল তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এসব কথা বলেন। একই স্ট্যাটাসে পাপিয়াকে বহিষ্কার করে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তির একটি কপি যুক্ত করে দেন তিনি।
এর আগে বিকালে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাপিয়াকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শামীমা নূর পাপিয়াকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে আটক করে র্যাব। এ দিন র্যাব জানায়, রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে সবসময় বুকড করে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন পাপিয়া। তিনি হোটেলটির বারে বিল বাবদ প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করতেন। পাপিয়ার বাৎসরিক বৈধ আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ হোটেল ওয়েস্টিনে গত তিন মাসেই প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন। তিনি নারী সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।
সোনালীনিউজ/এএস
আপনার মতামত লিখুন :