• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুবকের দুই হাতের কব্জি কেটে নিল সন্ত্রাসীরা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম
যুবকের দুই হাতের কব্জি কেটে নিল সন্ত্রাসীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর পাশে একটি ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে রুবেল হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

উপজেলার উজিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। আহত রুবেল বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। আহত রুবেল হোসেন শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটি বাজার এলাকার মৃত খোদাবক্সের ছেলে।

হাসপাতালে ওই যুবক দাবি করে বলেন, বুধবার রাতে ফেরিঘাট থেকে রুবেল দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় উপজেলার উজিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের পথ রোধ করে চেয়ারম্যান ফয়েজের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে তার দুই বন্ধুকে সেখানে আটকে রাখে এবং তার মুখ ও চোখে গামছা বেঁধে পদ্মা নদীর বাঁধের নিচে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। এরই একপর্যায়ে তার দুই হাতের কব্জি কেটে নেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

এ বিষয়ে রুবেলের চাচাতো ভাই ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সালাম জানান, পদ্মা নদীর পাশে নিউ পদ্মা ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ ও তার লোকজনের সঙ্গে রুবেলসহ তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন শিমুল ও তার ভাইয়ের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ মিলেমিশে ফেরিঘাটটি চালাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে ফয়েজ ফেরিঘাটটি পুরো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছিলেন। এর প্রতিবাদ করে রুবেল। তারই জের ধরে চেয়ারম্যান ফয়েজের নির্দেশে তার লোকজন রুবেলের হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন আগে থেকেই ওই ঘাট নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়েই ওই যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত কেটে নেয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

এদিকে রাতেই খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে রুবেলের স্বজনরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়। অভিযোগ বিষয়ে  জানতে কয়েক দফা চেষ্টার পর চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, রুবেলের সাথে আমার সামান্য একটু মনেমালিণ্য ছিলো। তাই বলে এমন জঘণ্য ঘটনাআমি বা আমার পরিবারের কেও করেনি। এ বিষয়ে রুবেলদের পরিবার যা খুশি তা করতে পারে। তবে রুবেলের চিকিৎসা শেষে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বরে পরিবার নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তারা শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি।

এসজেডি/এএস

 

Wordbridge School
Link copied!