• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুবমহিলা লীগ নেত্রীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর


ঝালকাঠি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৬:৪২ পিএম
যুবমহিলা লীগ নেত্রীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর

ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুরের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিম হাওলাদার মেয়ে সদর ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক উম্মে আসমা সুখির বসতঘরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও ঘরের লোকজনকে মারধরে করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে সদর ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উম্মে আসমা সুখি অভিযোগ করে বলেন, রাজাপুর মৌজার ৪৭নং জে.এল ও ২২২২ নং এস.এ খতিয়ানের ১৪১৪ নং দাগের এবং ৫০৭৬ নং ডিপি খতিয়ানের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসতঘর নির্মাণ করে ৫ বছর ধরে সুখী, তার বিধবা মা, তার ছেলে ও ছোট বোন কামরুন্নাহার তুলিকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর মি নিয়ে বিরোধের জেরে ভোররাতে ঘরের সকলে ঘুমন্ত অবস্থায় সুখীর সৎ ভাই প্রতিপক্ষ আলী হায়দার মহারাজ ও খিজির হায়াত বাদশা ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করে ঘরের সামনের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়ে ভাঙচুর শুরু করে এবং মালামাল ও স্বর্ণালংকার, দুই লাখ লুট করে নেয়। বাধা দিতে গেলে যুব মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে আসমা সুখি, তার ছেলে শিশু ছাত্র আল আবিদ ও বোন কামরুন্নাহার তুলিকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করে বাসার সামনের রাস্তায় নামিয়ে হত্যার উদ্দেশে রামদা, হকিস্টিক, চাইনিজ কুঠার ও লোহার রড দিয়া পিটিয়ে জখম করে।

প্রতিপক্ষরা এ সময় বসতঘরখানা ভেঙে তছনছ করে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামী খিজির হায়াত বাদশা গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে এবং ১৮ সেপ্টেম্বর আবার সুখীরা বসতঘর নিমার্ন করে বসবাস শুরু করে কিন্তু বর্তমানে আসামীরা জামিনে এসে ফের হামলা ভাঙচুরের ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। অপরদিকে আসামী খিজির হায়াত বাদশার স্ত্রী জেসমিন বেগম বাদি হয়ে উল্টো স্বজন ও নির্যাতনের শিকার ৭ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এব্যাপারে রাজাপুর থানায় ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জিডি (নং ৮০২) করেছে। জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত খিজির হায়াত বাদশা জানান, তার পিতা জীবত থাকাকালিন বিরোধীয় এ জমিটি প্রথম ঘরের সন্তান বাদশা ও মহারাজকে দেয় এবং দ্বিতীয় ঘরের সন্তান সুখীদের পুরাতন বাড়িতে থাকতে বলে যায়। সে মতে বাদশা ও মহারাজের নামে রেকর্ড এবং আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই জমিতে কাজ করতে গেলে সুখী ও তার লোকজন বাধা দেয়, তা প্রতিহত করা হয়। কাউকে মারধর বা ভাঙচুর করার করা হয়নি। এছাড়া এখনও পত্রিক জমি বন্টন করা হয়নি। রাজাপুর থানার ওসি মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, আসামীরা জামিনে এসে হুমকি দিচ্ছ মর্মে বাদিপক্ষ থানায় জিডি করেছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/আরআর/এএস

Wordbridge School
Link copied!