• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুবরাজকে সরানো যাবে না


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২৩, ২০১৮, ০২:৫৬ পিএম
যুবরাজকে সরানো যাবে না

ঢাকা : সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল জুবায়ের বলেছেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সরানোর কাজটি হবে ‘রেডলাইনে’ অর্থাৎ শেষ সীমা অতিক্রম করা। তাই তাকে সরানো যাবে না। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

সৌদি আরবে আমাদের নেতৃত্ব হলো একটি রেডলাইন। দুটি পবিত্র মসজিদের জিম্মাদার (বাদশা সালমান) ও যুবরাজ হলেন শেষ সীমা (রেড লাইন)। তারা প্রত্যেক সৌদি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করেন। সৌদি নাগরিকরা তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। বাদশা বা যুবরাজের প্রতি অপমানজনক কোনো আলোচনা আমরা সহ্য করব না।

আমরা এর আগেও বলেছি, আবার একদম পরিষ্কারভাবে বলছি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় যুবরাজ জড়িত নন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে। দায়ী ব্যক্তিদের  শাস্তি দেওয়া হবে।

খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজের ইন্ধন রয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও বলেছে, যুবরাজের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এটা স্পষ্ট করে এখনো প্রমাণিত হয়নি যুবরাজই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা। তারপরও বার বার অভিযোগের তীর ওঠায় বহির্বিশ্বে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

খাশোগি ইস্যুতে স্বয়ং সৌদি রাজপ্রাসাদেও তার অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। যুবরাজকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন সৌদি মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল বিপথগামী গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অভিযান। এখনো কোনোভাবেই যুবরাজ জড়িত নয়। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন খাশোগি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করা হয়েছে।

প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে সৌদি। কিন্তু তুরস্কের কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যার বিভিন্ন প্রমাণ হাজির করতে থাকে। একপর্যায়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ হত্যার কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন পর্যায়ে স্ববিরোধী ব্যাখ্যা দিতে থাকে।

এদিকে সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাণ্ড ও ইয়েমেনের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সৌদি আরবে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানির অনুমোদন স্থগিত করেছে ডেনমার্ক। গত বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানায়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই স্থগিতাদেশের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক উভয় কাজেই ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিও রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!