• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুবলীগ নেতা শামীমের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম
যুবলীগ নেতা শামীমের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন

ঢাকা: আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনের তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক মামলায় তার বিরুদ্ধে সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে আদালতে।

গুলশান থানার ওসি কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসান বলেন, ওই দুই মামলার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে রাজধানীতে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত বডিগার্ডকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। 

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ে তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ থাকা রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা শামীমকে ধরতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সাদা পোশাকে শুরু হয় র‍্যাবের অভিযান।

বিকেল সাড়ে ৪টায় অভিযান শেষে শামীমসহ আটজনকে আটক করার কথা জানায় র‍্যাব।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেছেন, যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন।

এ বিষয়ে সারওয়ার আলম বলেন, তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে, যদিও তার মা বড় কোনো ব্যবসায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। বাকি টাকা উনার নামে। ব্যবসায়ী হিসেবে নগদ টাকা থাকতেও পারে। তবে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ ছিল। তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রপ্রদর্শন করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে মাদক পাওয়া গেছে, যেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও জানান, আমরা তথ্য পেয়েছি তার নগদ টাকা অবৈধ উৎস থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। এটা তিনি কোর্টের সামনে প্রমাণ করবেন। তার বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেসব ভঙ্গ করেছেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!