• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে আগুনে পুড়ি


এস এম মুকুল এপ্রিল ৩, ২০১৯, ১১:০২ এএম
যে আগুনে পুড়ি

ফাইল ছবি

ঢাকা : জীবন যেন কেবল আগুনে পোড়ার খেলা। বাজারের আগুন, ঘরের চালার আগুন যদিওবা কোনোমতে জ্বলে, তবে মাস শেষে কর্মীর ঘর্মাক্ত মাসোহারায় সে আগুন দাউদাউ করে পুড়িয়ে নিমিষে নিঃশেষ করে দেয়। কোন আগুনের শক্তি বেশি কে জানে- পকেট ফাঁকার হাহাকার আগুন, লাভের লোভের আগুন, পেটের ক্ষুধার আগুন, অধিকার হরণের আগুন নাকি নিমতলী-চুড়িপট্টি-বনানী বা গুলশানের আগুনের হলকা। এই নাগরিক জীবনে আমরা যেন আগুনের সঙ্গে চলি অথবা আগুন সঙ্গে নিয়ে চলি। আগুনের আশঙ্কায় করি দিবারাত্রি যাপন। তবু আগুন ছাড়া যেন দিন চলে না।

কী নিদারুণ নগরজীবন আমাদের! আলিশান অট্টালিকায় নগরের আকাশ দেখাই দায়। সূর্যের অগ্নিরশ্মিকে শীতাতপের বদ্ধ ঘরে বন্দি রাখার কী দারুণ আধুনিকতা। তবু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় নাগরিক বিলাসী সব আয়োজন। কারণে-অকারণে আগুনের লেলিহান শিখায় জীবন্ত মানুষ ও তার জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হলেও রাজউকের ব্যাকরণ আমরা কেউ বুঝি না। আগুন লাগার পর জানা যাবে ভবনের নকশায় ত্রুটির কথা। দুর্ঘটনার পর জানা যাবে গাড়িটি ছিল ফিটনেসবিহীন। অথবা জানবেন বাসটি চালাচ্ছিল কন্ডাক্টর! কিংবা ভুল চিকিৎসার পর জানা যাবে ক্লিনিকের লাইসেন্স ছিল না। কিংবা ডাক্তারই ছিল ভুয়া। ফল, সবজি, মাছ, মাংসে ফরমালিন আর কীটনাশকের বিষ। ফুটপাত থেকে অভিজাত রেস্তোরাঁয় খাবারে ভেজাল। মাদকের কালো থাবায় সয়লাব অলিগলি থেকে রঙিন ফানুসে সজ্জিত ইমারতগুলো। আরো সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, খুন, ছিনতাই, ধর্ষণসহ ক্ষমতার দম্ভোক্তির অগ্নিতেজ। এসব অনিয়ম আর প্রতারণার আগুনে প্রজ্বলিত আমাদের নাগরিক জীবন। কী বিস্ময়! কী বিস্ময়ে বেঁচে আছি এই আমরা। কী বিস্ময়ের লীলাখেলা নিয়ে ঘুমাও তুমি- দেশ!

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধির সোপানে। উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের জীবন সাজানোর কত না স্বপ্ন আমাদের। মহাকাশে আমাদের স্যাটেলাইট আছে, কেবল বাইশ তলার উপযোগী মইখানি নেই! এই নিদারুণ পরিণতি- বনানীর অট্টালিকায় পুড়ে অঙ্গার হলো ২৫টি তাজা প্রাণ। তাতে কার-বা কী আসে যায়! কত অগ্নিদহনে পুড়ছে মানুষ মুহুর্মুহু। জনগণের করজোড়ে বড়জোর একটি তদন্ত কমিটি শীতাতপাবদ্ধ কামরায় বসে খুঁজে বেড়াবে- এ দায় কার? ক’দিন যেতে না যেতেই এই রোদনহীন প্রতিবেদন ফাইলচাপা পড়বে শীতাতপ অট্টালিকার শীতল আলমারিতে। আবারো ঘটবে কোনো ঘটন-অঘটন। তখন পরিসংখ্যানের হিসাবে সংখ্যাতত্ত্বে উঠে আসবে আগুনে পোড়া লাশের হিসাব। এভাবেই চলছে আমাদের রাজধানীর নাগরিক জীবন কিন্তু এভাবেই কি চলবে!

আগুনের ঝুঁকিতে বসবাস করছে ঢাকার দুই কোটির বেশি মানুষ। বলা বাহুল্য হবে না, বড় অগ্নিকাণ্ড সবার দৃষ্টি কাড়লেও প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও আগুন দুর্ঘটনা ঘটছেই। বৈদ্যুতিক ত্রুটি, সিগারেটের আগুন, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, রাসায়নিক দ্রব্য, বিস্ফোরণ, আগুন নিয়ে খেলা ও অসতর্কতাসহ নানা কারণে ঘটছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এসব অগ্নিকাণ্ডে মানুষের হতাহতের ঘটনা ছাড়াও ভস্মীভূত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তথ্যানুুসন্ধানে জানা যায়, ডিএসসিসি এলাকায় জার্মান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দেয়। এ ছাড়া কোনো সংস্থা আগ্রহ দেখালে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর গার্মেন্ট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দেড় লাখের মতো ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। তবে রাজউকের পক্ষ থেকে অগ্নিনির্বাপণ বা দুর্যোগ মোকাবেলায় কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দেশে বিদ্যুৎ ও আগুনের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও বাড়ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবনহানি, অগ্নিদগ্ধ হয়ে বিভীষিকাময় বেঁচে থাকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। জানা গেছে, গত বছরের সব অগ্নি দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে। এরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা গ্যাসের চুলা থেকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গড়ে ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তাদের হিসাবে, গত ৮ বছরে সারা দেশে ১ লাখ ৩০ হাজার ২১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৮২৫ জন। ক্ষতির পরিমাণ সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বলা হচ্ছে, সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে ঘটছে। ক্রমাগত এসব অগ্নিকাণ্ডের কারণ যেন খোঁজা হয় না— সেটাই বিস্ময় লাগে। বিশাল অট্টালিকা নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড না মানা, ভবনের চারপাশে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্পেস না রাখা, ওঠানামার জন্য সরু সিঁড়ি, নিরাপদ বহির্গমনের ব্যবস্থা না থাকা, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্যাবল সংযোগে বিশৃঙ্খলা, ফিক্সড জানালা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডোর লক সিস্টেমসহ অনেক বিষয় আছে যেগুলো সুবিধা-অসুবিধা বিচার-বিশ্লেষণ করে স্থাপন করা হয় না।

ঢাকার কোনো কোনো ভবনে নাকি আগুন নিয়ন্ত্রণের নামমাত্র যন্ত্রপাতি থাকলেও তা ব্যবহার করতে জানেন না ভবনের বাসিন্দারা। অগ্নিনির্বাপণ বা দুর্যোগকালীন করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণের অভাবে যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে অজ্ঞ বেশির ভাগ নগরবাসী। নগরবাসীকে সচেতন করতে রাজউক বা সিটি করপোরেশন প্রশিক্ষণের নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণ করে না কেন, সেটাও একটা প্রশ্ন।

ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ এবং ২০০৮ অনুযায়ী আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে জরুরি সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি দৃশ্যমান রাখার কথা বলা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয় না। বনানীর এফআর টাওয়ার ১৯৯৬ সালের ইমারত নির্মাণ বিধি অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়া হলেও জরুরি সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। এর আগে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরও কী কারণে টনক নড়েনি সংশ্লিষ্টদের সে জবাব আদায় করার দায়িত্ব যাদের- সেই রাজউক, ফায়ার সার্ভিস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ভবন মালিকদের দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্য করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বলেই আজ এই পরিণতি দেখতে হলো। কিন্তু দুঃখ আর আফসোসের সঙ্গে বলতে হয়, যাদের অবহেলা, অবজ্ঞা এতগুলো মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত দায়িত্বে অবহেলাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সম্পদ থেকে। আমরা আগুনে পুড়ে নিহত পরিবারের শূন্যতা হয়তো পূরণ করতে পারবো না, তবে রাজউকসহ অন্য সংস্থার কর্তব্যে অবহেলাকারী ব্যক্তি এবং বিল্ডিংয়ের মালিককে বাধ্য করে এখন প্রতিটি নিহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি করে টাকা আদায় করে দেওয়া অযৌক্তিক হবে না।

তথ্যে জানা যায়, গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের জমিতে ঢাকা ট্রেড সেন্টার গড়তে চেয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। ২০তলা ভবন নির্মাণের চুক্তি করেছিলেন মেট্রো গ্রুপের সঙ্গে। ভবন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন উপায়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের চেষ্টাও করেছিলেন। তবে হাইকোর্টে দাখিল করা রিটের ফলে সাময়িকভাবে উচ্ছেদ থেকে রক্ষা পান ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বৈধ উপায়ে বা শক্তি প্রয়োগ করে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি প্রথম আগুন লাগে এই মার্কেটে। তখন ব্যবসায়ীরা দাবি করেন- আগুন লাগেনি, আগুন লাগানো হয়েছে। তারা অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন আনিসুল হকের বিরুদ্ধে। হায় কপাল, আনিসুল হকের অকাল মৃত্যুর ফলে তার উদ্যোগ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ থেমে যায়। তারই স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নতুন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের অল্পদিনের মধ্যেই ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার পুড়ে ছাই হলো।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, আগুন প্রতিরোধের ৯ বছর আগে রাজধানীর নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির দেওয়া ১৭ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি আজো। আইনজ্ঞরা বলছেন, সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করলে অগ্নিকাণ্ড অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো। গত দশ বছরে শুধু রাজধানীতেই পাঁচগুণ বেড়েছে উচ্চ ভবনের সংখ্যা। তবে এসব ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু জোরদার করা হয়েছে, তার নমুনা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ভবন আছে ২২ লাখের মতো। এসব ভবনের মধ্যে ৮৪ শতাংশ একতলা। বাকি তিন লাখ ৫২ হাজার একতলার বেশি। ১০ তলার বেশি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণের যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে— এই মর্মে ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ২০০৮ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালায়। ভবনের দুই পাশে কমপক্ষে ছয় ফুট ফাঁকা জায়গা রাখারও আবশ্যকতা রয়েছে সর্বশেষ ইমারত নির্মাণ বিধিমালায়। কিন্তু যেসব ভবন ২০০৮ সালে করা হয়েছে তাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ১০ তলার কম উঁচু ভবনের অনুমোদন নিয়ে আইন লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণকারীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে রাজউকের কোনো কর্মসূচি নেই। তাহলে রাজউকের কাজটা আসলে কী? বসে বসে ঘুষ খেয়ে অবৈধভাবে নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া? এরপরও সরকার কি রাজউকের জনবল কাঠামো এবং কার্যনীতিমালার কথা নতুন করে প্রণয়ন করবে?

আমরা ছোটবেলায় পড়েছি-কাঁচা ইট পাকা হয়, পোড়ালে তা আগুনে। কাঁচা ইট আগুনে পোড়ালে সত্যিই পাকা হয়, তবে আমাদের বোধের দেয়ালের ইট আর কত পোড়ালে পাকা হবে কে জানে? আগুন মানবজীবনে উপকারী। আগুন ছাড়া একটি দিনও চলে না। প্রায়ই রান্নাঘরে গ্যাসের বিস্ফোরণে দুর্ঘটনার খবর আসে গণমাধ্যমে। জানা গেছে,  তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন একটি সিলিন্ডার ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য। সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে মেয়াদ লেখা থাকে। ব্যবহারকারীরা এ বিষয়ে সচেতন হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আবাসিক বহুতল ভবনের ছাদের চাবি ভবন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বা সিকিউরিটি গার্ডের কাছে থাকে। এ ধরনের দুর্ঘটনায় কর্মকর্তারা বা গার্ডরা নিজের জীবন বাঁচাতে দৌড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সব সুউচ্চ ভবনের ছাদের দরজায় তালা আটকানো নিষিদ্ধ করা উচিত। সবশেষে যে কথাটি বলা দরকার, অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে পূর্বাভাসের উপায় নেই। তবে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

লেখক : বিশ্লেষক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!