• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যে কারণে পশ্চিমা নারীরা বেশি যৌননিগ্রহের শিকার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৯, ২০১৭, ১২:৩৯ পিএম
যে কারণে পশ্চিমা নারীরা বেশি যৌননিগ্রহের শিকার

ঢাকা: যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ইত্যাদি দেশ-কালের সীমায় বাঁধা কোনো বিষয় নয়। যুক্তরাষ্ট্রের নারীরাও প্রতিনিয়তই এর শিকার। কিন্তু সে দেশে পরিস্থিতি কত ভয়াবহ, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে গত তিন দিনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উঠে আসা নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া। ইংরেজিতে #MeToo লিখে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বস্তরের নারীরা জানাচ্ছেন, জীবনের নানা সময়ে, নানা স্থানে যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার না-বলা যত কাহিনি।

তাদের প্রতি এভাবে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানানোর আহ্বানটি জানিয়েছিলেন অ্যালিসা মিলানো। কয়েকদিন আগেই মিডিয়া মুঘল হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা এ অভিনেত্রী টুইটারে জানিয়েছিলেন, তার এক বন্ধু মনে করে, সবাই যদি #MeToo স্ট্যাটাস দিয়ে অতীতের সেই অধ্যায়টির কথা প্রকাশ করতে শুরু করে, তাহলেই বোঝা যাবে যৌন হয়রানি সমাজে আসলে কত বড় মহামারীর রূপ নিয়েছে।

রোববার রাতে টুইটারে অভিনেত্রী অ্যালিসা সবাইকে #MeToo লিখতে বলেছিলেন। তাতে যে এমন সাড়া পাবেন তা সম্ভবত নিজেও ভাবেননি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতের মধ্যে ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ লিখে ফেলেছেন #MeToo। হ্যাশট্যাগটি টুইট করা হয়েছে পাঁচ লক্ষেরও বেশি বার।

যুক্তরাষ্ট্রের সব পেশার, সব বয়সের নারীরাই জানাচ্ছেন, কখন, কীভাবে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পেশাজীবী নারীরা জানাচ্ছেন, প্রতিবাদী হতে গিয়ে চাকরি হারানোর কথা। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, ক্ষমতাশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে পুলিশ কিভাবে ধর্ষণ বা নিপীড়ণের সময় নারী কী পোশাক পরেছিল, কী করছিল – ইত্যাদি জানতে চেয়ে আরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে।

যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে যৌন নিপীড়ন। ষাটোর্ধ লরেন টেলর জানালেন, নারীকে যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করা শেখাতে ২০ বছর আগেই তিনি গড়েছেন ‘ডিফেন্ড ইয়োরসেল্ফ’ নামের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের যৌন নিপীড়ণের হাত থেকে বাঁচাতে অন্তত ২০ বছর ধরে কাজ চলছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ভাবা যায়।

শুরুটা নিউ ইয়র্কে হলেও এখন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে বিশ্বের অনেক দেশের নারীরাই #MeToo লিখে জানাচ্ছেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা। অনেকেই বলছেন, এ অধ্যায়টি এতদিন তারা গোপন রেখেছিলেন ‘বিচার হবে না, উল্টোসামাজিকভাবে অপমানিত হতে হবে’ – এই ভয়ে।

ইতিমধ্যে সুদূর ফ্রান্সেও লেগেছে অ্যালিসা মিলানোর এক টুইটের মাধ্যমে শুরু হওয়া ঝড়ের হাওয়া। রাস্তায় ধরা পড়লে যৌননিগ্রহকারীকে সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা বা অন্যভাবে শাস্তির আওতায় নেয়ার আইন প্রবর্তনের আশ্বাস দিয়েছে সে দেশের সরকার। চার ফরাসি অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তারাও হার্ভে ওয়াইনস্টাইনের যৌন হয়রানির শিকার।

এছাড়া অভিনেত্রী গিনেথ পালট্রো, আনা পাকুইন, পাত্রিসিয়া আরকুয়েত্তে, ডেব্রা মেসিং এবং আনিকা নোনিসহ আরো অনেক অভিনেত্রীই অভিযোগ তুলেছেন হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে। ৬৫ বছর বয়সি ওয়েনস্টেইন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স থেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। সূত্র: ডিডাব্লিউ

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!