• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে বিএনপির ৫ হেভিওয়েট নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৭, ২০১৮, ০৭:২৬ পিএম
যে কারণে বিএনপির ৫ হেভিওয়েট নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না

ঢাকা : প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে। প্রথম দিন বিভিন্ন দলের ৮০ নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির ৩৯, আওয়ামী লীগের ১ এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ৪১ জন।

বৃহস্পতিবার ১৬০টি আপিল শুনানি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় ৭৭ জনের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়। তিনটি আপিল আবেদন অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। বিএনপি ৩৯ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেও দলের তিন হেভিওয়েট প্রার্থীসহ অন্তত ৫ জনপ্রিয় নেতার ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত।

তাদের প্রত্যেকেই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন। এলাকায় তাদের প্রভাবও কোনো অংশে কম নয়।তৃণমূলে তারা সবাই সমাদৃত। এই ৫ জন হলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও সাবিরা সুলতানা মুন্নী।

৫ জনের মধ্যে প্রথম দুজন ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রী। দুলু ছিলেন উপমন্ত্রী। ওয়াদুদ ভূঁইয়া খাগড়াছড়ির সাবেক এমপি ও মুন্নী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান। মুন্নী এবার যশোর-২ আসনে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা হচ্ছে-এরা ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। এ কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল; নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও ফল পাননি তারা।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের আপিল বৃহস্পতিবার নাকচ করে দেয় সিইসি কেএম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী আপিল কর্তৃপক্ষ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে টুকু সিরাজগঞ্জ-২ আসনে, মীর নাসির চট্টগ্রাম-৫, দুলু নাটোর-২, সাবিরা যশোর-২ আসন এবং আবদুল ওয়াদুদ খাগড়াছড়ি-১ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত তারা। এ জন্য যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। গতকাল তারা সবাই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইসির এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সাবিরা সুলতানা বলেন, আইনের শেষ ধাপ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। যদি আমার প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়, তবে আমি প্রার্থিতা ফিরে পাব। আপিলের ফল জেনেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মীর মোহাম্মদ নাসির বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। এ রায় মানি না। ডেকে এনে নাটক মঞ্চস্থ করা হল।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও উচ্চ আদালতে আপিল করার ঘোষণা দেন।

শুনানির সময় দুলু বলেন, ২০০৮ সালে হাজী সেলিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, লুৎফুজ্জামান বাবর, মোহাম্মদ নাসিম দুই বছরের বেশি দণ্ড নিয়ে জামিন পেয়ে ভোট করতে পেরেছিলেন। আমি তখন জেলে থাকার কারণে নির্বাচন করতে পারিনি।

আমার এখনকার মামলা এক বছর আগে স্থগিত করেছি, সেটি সরকার কোনো আপিল করেনি। একই গ্রাউন্ডে হাজী সেলিম এবারও নির্বাচন করতে পারলে আমি ভোট করতে পারব না কেন?

তিনি বলেন, আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে হারাতে পারেনি। তাই আমাকে একটি সুযোগ দিন।

এর আগে ২ ডিসেম্বর সারা দেশে ৭৮৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন দেশের ৬৬ রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৪৩ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। প্রথম দিন এক থেকে ১৬০ ক্রমিক নম্বর পর্যন্ত শুনানি হয়। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন ১৬১ নম্বর থেকে ৩১০ নম্বর আপিলের শুনানি করছে ইসি। বাকিদের আপিল কাল শনিবার শুনানি হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!