• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যেভাবে বুঝবেন দাম্পত্য জীবন সুখের হবে কি না


লাইফস্টাইল ডেস্ক জুন ২৪, ২০১৬, ১১:০০ এএম
যেভাবে বুঝবেন দাম্পত্য জীবন সুখের হবে কি না

বিয়ের পর কারা সুখী হন? কোন দম্পতির সম্পর্কের পরিণতি ঘটে ডিভোর্সে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সম্প্রতি একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা এক সমীক্ষা চালিয়েছিল ৩০০০ হাজার দম্পতিকে নিয়ে। সমীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, বিয়ে সুখের এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না তা বোঝা যায় বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখে। এখানে রইল তেমনই ৬টি লক্ষণের হদিশ— 

১. বিয়ের আগ‌ে কতদিন ধরে প্রেম করেছেন:
সমীক্ষা জানাচ্ছে, যারা বিয়ের আগে অন্তত তিন বছর বা তার বেশি দিন প্রেম করেছেন তাদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ কম থাকে। প্রণয়পর্ব দীর্ঘস্থায়ী হলে বিবাহিত জীবন সুখের হয়, এমনটাই বোঝা যাচ্ছে সমীক্ষা থেকে। 

২. ধর্মস্থানে যাচ্ছেন কি না:
ধর্মস্থানে, অর্থাৎ মন্দির, মসজিদ বা গির্জার মতো আরাধনাস্থলে যেসব মানুষ নিয়মিত যান তাঁদের ডিভোর্সের সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ কম। মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন, যেসব মানুষ নিয়মিত ধর্মস্থানে যান বিবাহ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁদের আস্থাও থাকে বেশি। ফলে তারা ডিভোর্সের রাস্তায় চট করে হাঁটেন না।

৩. বিয়ে কতটা জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে:
অদ্ভুত হলেও সমীক্ষা এমনটাই বলছে যে, যাদের বিবাহানুষ্ঠানে অন্তত ২০০ লোককে নিমন্ত্রণ করা হয় তাদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকি কম থাকে। যাঁরা পালিয়ে বা লুকিয়ে বিয়ে করেন তাদের বিয়ে নাকি প্রায়শই ভেঙে যায়। 

৪. বিয়েতে কতটা কম খরচ হচ্ছে:
আগের কথার ঠিক উল্টোটাই এখানে বলা হচ্ছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সমীক্ষায় এটাও দেখা যাচ্ছে যে, যাদের বিয়েতে সব মিলিয়ে খরচ হয় হাজার বিশেক টাকার মধ্যে তাঁরা নাকি বিয়ের পর বেশি সুখী হন। তাহলে মানেটা কী দাঁড়াল? আপনাকে বিবাহিত জীবনে সুখী হতে গেলে এমনভাবে বিবাহানুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে যাতে অল্প খরচে অনেক লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো যায়। 

৫. বিয়ের পর কত দ্রুত হনিমুনে যাওয়া হচ্ছে:
বিয়ের পর-পরই যেসব দম্পতি হনিমুনে যান তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা ৪১ শতাংশ হ্রাস পায়। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিয়ের গোটা বিষয়টি এতটা ক্লান্ত করে দেয় নববিবাহিত দম্পতিকে যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল হনিমুনে যাওয়া। এই ক্লান্তিমুক্তির ফলে বিবাহিত জীবনও সুখের হয়।

৬. সঙ্গীর শারীরিক নাকি মানসিক সৌন্দর্য— গুরুত্ব পাচ্ছে কোনটি:
যেসব মানুষ তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শারীরিক সৌন্দর্যকে বড় করে দেখেন তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে বেশি। তুলনায় মানসিক সৌন্দর্যকে যাঁরা বেশি গুরুত্ব বেশি দেন তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ় হয়। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম
 

Wordbridge School
Link copied!