• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যেমন ছিল আজ আদালতের ভেতরের অবস্থা


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৫, ২০১৯, ০৩:০৪ পিএম
যেমন ছিল আজ আদালতের ভেতরের অবস্থা

ঢাকা: মেডিকেল রিপোর্ট না আসায় দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছানোয় আদালতের এজলাসে অবস্থান নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে হট্টগোল করছেন বিএনপি আইনজীবীরা। 

আইনজীবীদের এই হট্টগোলের মধ্যে এজলাসে বিচারকের আসনে বসে আছেন প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারক। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির কথা ছিল।

এরই অংশ হিসেবে সকাল ৯টার দিকে বিচারকরা এজলাসে ওঠেন। তার আগেই প্রায় তিন শতাধিক আইনজীবী কালো পোশাকে এজলাসে এসে শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

খালেদা জিয়ার মামলা কজলিস্টের ৭ নম্বরে থাকায় আগের মামলাগুলো শুনানি করতে থাকেন আপিল বিভাগ। একে-একে কজলিস্টের ৬টি শুনানি শেষে বেলা ১০টার কিছু আগে আসে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি।

শুনানি শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত মেডিকেল রিপোর্ট হাসপাতাল থেকে আসেনি। তাই আদালতের কাছে সময় চাচ্ছি।

এ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের কাছে আগের একটি রিপোর্ট আছে। শুনানি হতে পারে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওই রিপোর্ট আমাদের দেয়া হয়নি। তখন জয়নুল আবেদীন বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- খালেদা জিয়া কারাগারে রাজকীয় হালে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে আদালতে হইচই শুরু করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তখন আদালতে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা বলেন, এটা পল্টন ময়দান না।

এজলাসে আইনজীবীদের হট্টগোলের মধ্যেই খালেজা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন আদালত। এর আগেই ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আদালতের আদেশের পর আইনজীবীদের হট্টগোল বেড়ে যায়। একপর্যায়ে এজলাস থেকে বেরিয়ে যান বিচারকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আবার এজলাসে ফিরে আসেন। এজলাসে এসে অন্য একটি মামলার শুনিনি করার সময়ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল চলতে থাকে।

আইনজীবীরা হাতে তালি দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা শুধু ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে তাদের এই স্লোগান। তাদের স্লোগানের মধ্যে বিচারকের আসনেই বসে থাকেন প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারক।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির অংশ হিসেবে গত ২৮ নভেম্বর তার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে চান আদালত। এ জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বোর্ডের প্রতিবেদন ৫ ডিসেম্বরের (আজ) মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এই সাজা বাতিল চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতে দেয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট।

গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। গত ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যান।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!