• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যৌনকর্মীদের আয়ের পথ খুলে দিয়েছে বিশ্বকাপ


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১৬, ২০১৮, ০১:৪৬ এএম
যৌনকর্মীদের আয়ের পথ খুলে দিয়েছে বিশ্বকাপ

ঢাকা: বিশ্বকাপ উপলক্ষে দলে দলে লোক ছুটছে রাশিয়ার দিকে। উদ্দেশ্যে নিজ দলকে সমর্থন দিয়ে বিজয়ী করা। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ায় সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১০ লাখ ফুটবলপ্রেমী ঢুকবে। আর তাদের আতিথিয়তার জন্য হোটেল মোটেল তৈরি।

যেহেতু তারা দীর্ঘ সময় থাকবেন তাদের বিনোদনেরও অনেক ব্যবস্থা থাকছে। এজন্য রাশিয়ার প্রায় তিন লাখ যৌনকর্মীও প্রস্তুত রয়েছেন অতিথিদের সঙ্গ দিতে। এত দিন রাশিয়ায় যৌনকর্মীদের বাজার মন্দ ছিল। বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেই বাজার খুলে গিয়েছে।

বিশ্বকাপের জন্য সরকার যৌন পেশায় থাকা কড়া নিষেধাজ্ঞার নিয়ম ঢিলেঢালা করেছে। এখনই তাদের উপার্জন করার মোক্ষম সময়। তবে বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতো নয় রাশিয়া। এই দেশে ডেটিং অ্যাপ থেকে শুরু করে যৌন পেশা, সবকিছুতেই বাধানিষেধ প্রবল। কিন্তু বিশ্বকাপের বাজারে বহু ফুটবল ভক্ত রাশিয়ায় পা রাখছে। আর তাঁদের কথা ভেবে এই সব ক্ষেত্রেও বাধা নিষেধের ব্যাপারটা শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।

মায়াচকি নামের এক যৌনকর্মী বলছিলেন, ‘আগে তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেই পুলিশ এসে বারবার প্রশ্ন করত। এখন ওরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়। জানি এটা সবসময়ের জন্য নয়। কিন্তু বিশ্বকাপ  আমাদের জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সে কারণে ধন্যবাদ দিতেই হবে। আমরা খুশি।’

সিলভার রোস নামের এক গ্রুপ পরিসংখ্যান দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাশিয়ায় প্রায় তিন লক্ষ যৌনকর্মী এই মুহূর্তে খুব খুশি। তারপরও সমস্যা রয়েই গেছে। আর সেটা রাশিয়া সরকারের তরফ থেকে। তাদের তরফ থেকে রাশিয়ার যৌনকর্মীদের কাছে নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর যাই করো, বিদেশ থেকে আশা ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। কেন এমন সিদ্ধান্ত?

রাশিয়ায় মহিলা, শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্লেৎনোভা সাফ বলে দিয়েছেন, ‘ফুটবলপ্রেমীরা আসবেন। যৌনকর্মীদের সঙ্গে থাকতেও পারেন। কিন্তু তারপর? যে সব সন্তানের জন্ম হবে, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? রাশিয়ার মতো দেশে ওদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই দায়িত্ব তখন কে নেবে?’

এরআগে ১৯৮০ সালে মস্কোয় সামার অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় অনেক রুশ মহিলাই বিদেশিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। ফলে কয়েক হাজার ‘অবৈধ’ শিশু জন্ম নেয়। তাদেরই বলা হয় ‘চিলড্রেনস অব অলিম্পিক্স’। রুশ সমাজে তাদের প্রতি বৈষম্য নতুন কিছু নয়। কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের প্রতি ভেদাভেদ আরও বেশি।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!