• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানের মধ্যরাতে আল্লাহকে খুঁজুন


 ধর্মচিন্তা ডেস্ক মে ১৮, ২০১৯, ০২:৩৯ পিএম
রমজানের মধ্যরাতে আল্লাহকে খুঁজুন

ঢাকা: আমলের মাস রমজান। নিত্য দিনের আমলের সঙ্গে রমজানের আমলের কনো ভিন্নতা নেই। তবে রমজানে নফল আমলের সওয়াব ৭০ গুণ বেশি থাকে। যেহেতু রমজান আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস তাই এ মাসে ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো বেশি বেশি করা উচিত। আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় আমল তাহাজ্জুদের নামাজ। রমজান মাসেও এ আমলটির প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। আল্লাহপ্রেমীদের কাছে এ আমল খুবই প্রিয়। 

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর উম্মতদের প্রতি রাতের নামাজের তাগিদ দিয়ে গেছেন। নবীজী (সা.) রাতের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল হিসেবে তাহাজ্জুদ নামাজকে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। তাই তো ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রত্যহ গভীর রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে রাতের বেলা তাহাজ্জদ সালাত আদায় করে থাকেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সব নফল ইবাদত অপেক্ষা অধিক এবং এটি আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। যারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং অপরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেন, তারা আল্লাহর অপার রহমতের মধ্যে বিচরণ করেন। হাদীসে বলা হয়েছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। অতঃপর তিনি (তার স্ত্রী) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি (স্ত্রী) ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেন।’ (আবু দাউদ ও নাসাঈ) তাহাজ্জুদ নামাজ রাত দ্বিপ্রহরের পরে পড়তে হয়।
 
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ কখনো ৪ রাকাত, কখনো ৮ রাকাত এবং কখনো ১২ রাকাত পড়েছিলেন। তবে দুই রাকাত-দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদ নামাজ কমপক্ষে ৪ রাকাত আদায় করা উচিত। কিন্তু যদি কেউ এ নামাজ ২ রাকাত আদায় করেন, তাহলেও তার তাহাজ্জুদ আদায় হবে। এটাকে অবশ্য অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ নিরুৎসাহিত করেছেন। আলেমরা তাহাজ্জুদের নামাজের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষার কথাও বলেছেন। অর্থাৎ একদিন অনেক রাকাত, আরেক দিন কম কিংবা আরেকদিন পড়াই হলো না এমনটি নয়। যাই পড়া হোক সেটা যেনো নিয়মিত হয়। 

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এশার পর দুই বা ততোধিক রাকাত নামাজ পড়ে নেয়, সে হবে তাহাজ্জুদের ফজিলতের অধিকারী।’ তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কালে কেরাতের সময় কোরআনে কারিমের আয়াত যথাসম্ভব বেশি পরিমাণে তেলাওয়াত করা উত্তম। যদি বড় সূরা মুখস্থ থাকে, তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজে বড় সূরা তেলাওয়াত করা। বড় সূরা মুখস্থ না থাকলে যে কোনো সূরা দিয়েই নামাজ আদায় করা যাবে। 

হাদীসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি অধিক সম্মানের অধিকারী বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে আল কোরআনে অভিজ্ঞ ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি সম্মানের অধিকারী হবেন।’ (বায়হাকি)

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এসআই

Wordbridge School
Link copied!