• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজাপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট বই


রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৫:২৩ পিএম
রাজাপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট বই

ঝালকাঠি : জেলার রাজাপুরে ৬টি ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক নিম্ন মানের নোট ব্যাকরণ বই কিনতে বাধ্য করছেন শিক্ষকরা। নিম্ন মানের প্রকাশনী ও লাইব্রেরির মালিকরা বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের হাতে নগদ অর্থ দিয়ে উপজেলাব্যাপী একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে আর এর খেশারত দিচ্ছে গরিব শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা নির্দিষ্ট নিম্ন মানের প্রকাশনীর নোট বই কিনতে বাধ্য করছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।

শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়, ৫২টি মাদ্রাসা ও ৫টি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে নোট-বই কিনতে বাধ্য করছে। সরকার বছরের শুরুতে নতুন পাঠ্য বই বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার লক্ষে সকল প্রকার নোট বই নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু লাইব্রেরি মালিকরা নিষিদ্ধ নোট বই অবাধে বিক্রি করছে। নামি-দামি প্রকাশনীর নোট বইয়ের চেয়ে নিম্ন মানের নোট বইগুলোর মূল্য দ্বিগুণ। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা অর্থদণ্ড দিচ্ছে অন্য দিকে শিক্ষার্থীদের সুজনশীল শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষার পরিবর্তে মেধাশূন্য হয়ে পরার আশংকা করছেন অভিভাবকরা। উপজেলার ৮/১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের চলছে একই ধরনের নোট বই। উপজেলাসহ বিভিন্ন লাইব্রেরি মালিকরা অবাধে নিষিদ্ধি নোট-বই বিক্রয় করলেও এর রোধকল্পে প্রাশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অবাসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম জানান।

সরেজমিনে গিয়ে সাতুরিয়া রামবাদক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া, মারুফা ও বিলকিস এদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষকদের দেয়া তালিকা অনুয়ায়ী আমাদের উচ্চ মূল্যে নোট বই কিনতে হচ্ছে। একই কথা জানিয়েছে মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিপি, ছনিয়া ও সাথী।

প্রধান শিক্ষক মো. আলতাফ হোসেন, মো. জাকির হোসেন ও মো. বেলায়েত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা মান সম্মত নোট বই কিনতে বলেছি। নোট বই নিষিদ্ধের কথা জানতে চাইলে তারা জানান, সহায়ক পাঠ্য বই হিসেবে এ নোটগুলোর প্রয়োজন। প্রকাশনীর কাছ থেকে অর্থ নেয়ার কথা জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এমডি আবুল বাসার তালুকদার জানান, এ ব্যাপারে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি তবে তদন্ত করে দেখবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!