• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে নির্বাচনী আমেজ


রাবি প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮, ০৭:২২ পিএম
রাবিতে নির্বাচনী আমেজ

রাবি : সামনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহর থেকে শহরাঞ্চলে। দেশের সর্বত্রই বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লার, বাস-ট্রেন, চায়ের কাপের আড্ডায় নির্বাচনী তর্ক-বিতর্ক বেশ জমে উঠেছে। চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ, কে হচ্ছে আগামী ৫ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি। নির্বাচনের এ আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশসেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। যাদের মধ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই নতুন ভোটারই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দেবে।

তবে এ তরুণ ভোটার বলছেন, নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা আছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তবে তারা এমন প্রার্থীদেরকে বেছে নিবেন যারা, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তরুণদের নিয়ে ভাবেন। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার পাশাপাশি চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মাদকমুক্ত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে সর্বত্র প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার ছেয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর, ইবলিশ চত্বর, টুকিটাকি, লিপু চত্বর, সাবাশ বাংলার মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সাগর ক্যান্টিন, আবাসিক হলগুলোর পাশের দোকানসহ পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মুখ্য বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আড্ডার বিষয় যাই হোক না কেন ঘুরে ফিরে নির্বাচনী আলাপেই চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন। সাবাশ বাংলা মাঠে আড্ডা দিচ্ছিল বাংলা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী যাদের সকলেই প্রথমবারের মতো ভোট প্রদান করবেন। কেমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন জানতে চাইলে, বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দীন ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তবে আমারা তরুণরা সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী প্রার্থীকে ভোট দেব যারা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।’

এ সময় পাশ থেকে তার সহপাঠী তারানা তাবাসসুম বলেন, আমরা দেশে আগুন সন্ত্রাস চাই না। এমন প্রার্থীকে ভোট দেব যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তরুণদের নিয়ে কাজ করবেন।’

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চালাচ্ছে নিজ প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা। তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে বলছেন জনগণের যে সাড়া পাচ্ছে তাতে তাদের প্রার্থী বিজয় ব্যাপারে আশাবাদী।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ভোটারদের কাছে বেশ সাড়া পাচ্ছি। তারা জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসের রাজনীতি চায় না। দেশের যে চলমান উন্নয়ন তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে এটাই তাদের চাওয়া। যা নেতৃত্ব দেবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’

রাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানেই ধানের শীষের জোয়ার দেখছি। এ জোয়ারে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকার ভাটা পড়বে। সাধারণ মানুষের চাওয়া আমরা যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেই।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!