• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
সোহরাব হত্যা চেষ্টা

রাবির প্রশাসন ভবন ঘেরাও, দুই ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার


রাবি প্রতিনিধি নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০২:৪৬ পিএম
রাবির প্রশাসন ভবন ঘেরাও, দুই ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক ঐক্যের ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা।

বহিষ্কৃতরা হলেন, ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কবির নাহিদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান।

এদিকে হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার দাবিতে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় হামলায় জড়িতদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার আল্টিমেটাম দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসেন।

মানববন্ধনে আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ এর সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আক্তার হোসেন মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, উদ্ভিদ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, আইইআর বিভাগের অধ্যাপক আক্তার বানু আল্পনা প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশি শক্তির আস্তানা গড়ে উঠেছে। গুন্ডামী শিক্ষাতে ছাপিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় ছাত্রদের মানসিক ও দৈহিক নিপীড়নের মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীকে বের করে ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তরা হল থেকে বের করে দিয়েছে। অছাত্র বখাটে কর্তৃক ছাত্রী নিগ্রহ ঘটে চলেছে। কিন্তু প্রশাসনের নিরাপত্তার বিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

এ সময় তারা কয়েকটি দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো, নিপীড়ক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী বহিষ্কার, দায়িত্বে অবহেলার জন্য হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, কোন নির্যাতন হলে প্রশাসন মামলার তদারকি, ব্যয়ভার বহন করা, হলের সব জায়গায় সিসিটিভির ব্যবস্থা, বৈধ শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়া, কোন সংগঠনের হস্তক্ষেপ না করা ইত্যাদি দাবি জানান তারা।

পরে শনিবার সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে মামলার এজাহারভুক্ত ১ জনকে আটকে রেখে ৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে সোহরাবকে নিয়ে যান। সেখানে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসা করে হল ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে তারা দুইজন মিলে রড দিয়ে সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে। এতে রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে তার বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পরে রামেকে ভর্তি করে।

সোনালীনিউজ/এসএস/এএস

Wordbridge School
Link copied!