ঢাকা: মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো এক হাজার মণ ও ৪০ টন খেজুর জব্দ করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জব্দ করা আম ও খেজুর জন সম্মুখে ধ্বংস করা হয়। এসময় এ ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম এবং র্যাব-১০ এর পরিচালনায় বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার মো. সহিদুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেনদের সহযোগিতায় বিএসটিআই এর মিনিল্যাব, মেজারিং ডিভাইস স্থাপন করতঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা হতে অপরিপক্ক কাঁচা আম নিয়ে এসে আমের ঝুড়িতে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে পাকানো হচ্ছে। এছাড়াও ক্ষতিকারক অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে দ্রবণ তৈরি করে আমের ঝুড়িতে স্প্রে করে আম দ্রুত পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ পূর্বক পাঁকানোর ব্যবস্থা করে যা শিশু ও জন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এসময় ফলের আড়তের মোট ৯টি ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১০০০ টন কেমিকেলযুক্ত অপরিপক্ক আম জব্দ করে সেগুলো আড়তের সামনে পাকা রাস্তার উপর জন সম্মুখে বুলডোজার দ্বারা ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া গুদামজাত করা খেজুরে কোনো কেমিকেলর উপস্থিতি পাওয়া না গেলেও মেয়াদোর্ত্তীর্ণ হওয়ায় প্রায় ৪০ টন খেজুর জব্দ করে সেগুলোও ধ্বংস করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম আটকদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও ১টি ফলের আড়তের মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :