• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রায় শুনে আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় যা বলেন রিফাতের বাবা


বরগুনা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০, ০৩:০৭ পিএম
রায় শুনে আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় যা বলেন রিফাতের বাবা

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা : বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আর এ রায়ের সন্তুষ্ট হয়েছেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল্লাহ হালিম দুলাল শরিফ। 

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণার পর আদলত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিফাতের বাবা। 

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞ। সঠিক বিচার পাব বিশ্বাস ছিল। আমি ও আমার পরিবার সবাই খুশি। যারা এই রায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি চাইনি কোনো নিরাপরাধ মানুষ কষ্ট পাক। যদি নিরপরাধ কেউ শাস্তি পান, তাহলে তাদের পরিবার আমার ছেলের জন্য বদদোয়া করবেন, এটা আমি চাই না।  

এদিকে, রিফাত হত্যার মুল মাস্টার মাইন্ড ছিলেন মিন্নি বলে মনে করছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ভূবন চন্দ্র হালদার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বলেন, রিফাত হত্যার মুল মাস্টার মাইন্ড ছিলেন মিন্নি। 

অন্যদিকে, রায়ের পরে রাকিবুল হাসান রিফাত শরীফের বাবা বলেন, রাজনৈতিক কারণে তার ছেলেকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তিনিও উচ্চ আদালতে যাবেন। 

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান আজ এ মামলার রায় দেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার ৭ নম্বর আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৮ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। অপর এক আসামি মুসা পলাতক রয়েছেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!