• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রিও অলিম্পিকে সেলফির নেশায় দুই কোরিয়ার মিলন


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ৯, ২০১৬, ০২:২৭ পিএম
রিও অলিম্পিকে সেলফির নেশায় দুই কোরিয়ার মিলন

‘সেলফি জ্বর’-এ আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এই সেলফির নেশায় কেউ প্রাণ হারিয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে, কেউ খেয়েছেন সাপ কিংবা উটের কামড়, কেউ আবার জন্ম দিয়েছেন বিরল ঘটনার। তেমনই এক বিরল (বরং বলা ভালো ঐতিহাসিক) মুহূর্তের জন্ম দিলেন লি এবং হং। এশিয়ার দুই চিরশত্রু দেশ উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষণিক মিলন ঘটালেন এই দুই কিশোরী জিমন্যাস্ট।

সোমবার (৮ আগস্ট) রিও অলিম্পিক গেমসে মেয়েদের জিমন্যাস্টিক ইভেন্টে এক সঙ্গে সেলফি তুলেছেন লি ও হং। ভৌগোলিক সীমানার বিষবাষ্পে সৃষ্ট শত্রুতা ভুলে নিজেদের হাস্যোজ্জ্বল ও সুখী বন্ধুত্বের মুহূর্তটিকে ফ্রেমবন্দী করেছেন তারা। যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে বিশেষ স্থান দখল করেছে। ভেদাভেদ ভুলে আত্মিক বন্ধনের প্রেরণা যুগিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

একটা সময় একই পতাকার তলে থাকলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভাগ হয়ে যায় কোরিয়ানরা। জন্ম নেয় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নামক দুই আলাদা রাষ্ট্রের। সেই থেকে শুরু দুই কোরিয়ার শত্রুতার ইতিহাস। জন্ম নেয় দুই দেশের মানুষের মধ্যে একে অপরের প্রতি তীব্র ঘৃণা, বিদ্বেষ। কার্যত দুই কোরিয়া এখন যেন যুদ্ধে লিপ্ত। অস্ত্র-শস্ত্র কিংবা গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধ হয় না বটে, তবে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার তিক্ততা ও বিদ্বেষের সম্পর্ক গোটা বিশ্বকেই আতঙ্কিত করে রাখে প্রতি নিয়ত। প্রায় প্রতিদিনই মনে হয় এই বুঝি সত্যিকারের যুদ্ধ জড়িয়ে গেল দুই কোরিয়া!

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের মধ্যে তাই সুসম্পর্ক ও মিত্রতা দেখতে পাওয়া বিরল ঘটনা। উত্তর কোরিয়ান হং ও দক্ষিণ কোরিয়ার লি’র সেলফি বন্ধনটা তাই অনেক বেশি আলো ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। সেই সঙ্গে যেন অলিম্পিক গেমসের প্রকৃত লক্ষ্যটাকেও অনেক বেশি মহিমান্বিত করেছে তা। কেননা, অলিম্পিক তো কেবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর নয়, এর জন্মই তো হয়েছে সব ভেদাভেদ ভুলে বিশ্ববাসীকে ভালবাসার বন্ধনে জড়ানোর জন্য।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!