• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিমান্ড চেয়ে খালেদকে পাঠানো হচ্ছে আদালতে


নিজস্ব প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৪:১৭ পিএম
রিমান্ড চেয়ে খালেদকে পাঠানো হচ্ছে আদালতে

ঢাকা : রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাব ক্যাসিনোর মালিক ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি র‌্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে গুলশান থানায় দায়ের করেছেন। এরপরই গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুইয়াকে গুলশান থানা পুলিশের কাছে ন্যস্ত করে।  

এদিকে ডিএমপির গুলশান জোনের পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ওই দুই মামলায় খালেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজই বিকেলে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে, এমন তথ্য দিয়ে তাকে রিমান্ডে আবেদন করা হচ্ছে আদালতে। সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, র‌্যাব-৩ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ আটক খালেদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, আটক খালেদকে র‌্যাব হেফাজত থেকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা নিয়ে আটক খালেদকে রিাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক আইনে গুলশান থানায় একটি এবং মতিঝিল থানায় আরো একটি মামলা করা হচ্ছে। র‌্যাব বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে এ দুটি মামলা করছে।
 
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র‌্যাব। আটকের পর তাকে র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের সময় খালেদের বাড়ি থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে র‌্যাব জানায়। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।

সূত্র জানায়, খালেদের ক্যাসিনোর বিষয়ে পুলিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থা এবং রাজনীতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জানতেন। তাদের ম্যানেজ করে ক্যাসিনো চালাতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, তাকে আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো এখনই প্রকাশ করা যাবে না। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে।

এদিকে খালেদকে রাতে আটক ও ঢাকায় একের পর এক ক্যাসিনোর সন্ধানের সংবাদ দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন জেনেও কেন এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি? আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে এটা তাদের চরম ব্যর্থতা।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!