• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ, সিভিল সার্জন অবরুদ্ধ


নীলফামারী প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম
রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ, সিভিল সার্জন অবরুদ্ধ

নীলফামারী : মধ্য বয়সী এক রোগীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার রোগির স্বজনসহ বিক্ষুদ্ধ লোকজন হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন শেষে নীলফামারী সিভিল সার্জন দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সিভিল সার্জনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুদ্ধ লোকজন । এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার ঘটনাস্থলে এসে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টায় শহরের নতুন বাজার কলোনি এলাকার আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মল্লিকা বেগমকে (৫০) অসুস্থ অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় জরুরী বিভাগে কোন চিকিৎসক না থাকায় উপস্থিত কর্মচারীরা মল্লিকা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠায়। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ছায়া রানী মল্লিকা বেগমকে মেয়াদউত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেন। 

এদিকে রাত ১২টার দিকে রোগীর লোকজন যখন বুঝতে পারেন স্যালাইনটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ততক্ষনে স্যালাইনের বেশীরভাগই শরীরে পুশ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বরত নার্সের সাথে রোগীর লোকজনের বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে আশপাশের লোকজন হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন। এসময় হাসপাতাল চত্বরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন  আনেন। হাসপাতালের স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ আরো ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতেই হাসপাতালের স্টোর সিলগালা করা হয়।

শহরের নতুন বাজার কলোনী মহল্লার আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে সানোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে মা মল্লিকা বেগমের বুকে ব্যথার কারণে ভর্তি করি আধুনিক সদর হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড স্যালাইন প্রয়োগ করা হয় মাকে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করি এবং হাসপাতালে আরো চারজন রোগীকে একই স্যালাইন প্রয়োগ করা হয়

এদিকে গতকাল রবিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে রোগীর লোকজনের সাথে এলাকার মানুষজন এক হয়ে ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে সিভিল সার্জন দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা সিভিল সার্জন ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের অপসারনের দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুষ্ট তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনেন। । 

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডাঃ রঞ্জিত কুমার বর্মন জানান মেয়াদউত্তীর্ণ স্যালাইন রোগিকে দেয়া খুবেই দুঃখজনক। এতে রোগীর বিপদও হতে পারত। এ ঘটনায় ডাঃ এএসএম রেজাউল করিমকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত  রির্পোট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!