• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোজার পরিচয় ও সূচনা ইতিহাস


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০১৮, ০৩:১২ পিএম
রোজার পরিচয় ও সূচনা ইতিহাস

ঢাকা : রোজা ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির তৃতীয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। ইসলামের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক সুস্থ ও বিবেকসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্যপালনীয়। রোজা শব্দটি ফারসি। ফারসি শব্দ রোজ থেকে এসেছে রোজা।

এর আরবি হলো সাওম বা সিয়াম, যার শাব্দিক অর্থ কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। পারিভাষিকভাবে সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার ও যাবতীয় যৌনাচারসহ অশ্লীলতা, অপচয়-অপব্যবহার এবং অন্যায় আচরণ ও অত্যাচার-অবিচার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। যেহেতু দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আমলটি পালন করা হয়, তাই একে রোজা বলা হয়।  

প্রথম কখন ও কোন রোজা ফরজ ছিল এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন, ১০ মহররম অর্থাৎ আশুরায় রোজাই সর্বপ্রথম ফরজ ছিল। আবার কারো কারো মতে, আইয়ামে বিজ অর্থাৎ প্রত্যেক চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা ফরজ ছিল। বস্তুত রোজা রাখার বিধান সর্বযুগেই ছিল। হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হজরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সব নবী-রসুলের যুগেই রোজার বিধান ছিল। রসুলুল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করলেন, তখন আইয়ামে বিজের রোজা রাখতেন। এরপর হিজরতের দ্বিতীয় হিজরিতে উম্মতে মোহাম্মদির জন্য রোজা ফরজ করা হয়। রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তায়লা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতের শেষে বলেন- হে ঈমানদারগণ!

তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি (তাকওয়াহ) অর্জন করতে পার। রোজা বা সিয়াম মোট পাঁচ ধরনের।

এক. ফরজ রোজা- ফরজ রোজা আবার চার ধরনের- ক. রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ। খ. কোনো কারণবশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাজা রোজা আদায় করা ফরজ।

গ. শরিয়তে স্বীকৃত কারণ ছাড়া রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা ফরজ।

ঘ. রোজা রাখার মান্নত করলে তা আদায় করা ফরজ।

দুই. ওয়াজিব রোজা- নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করা হলে পরে তা আদায় করা ওয়াজিব।

তিন. সুন্নত রোজা- মহররম মাসের ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখা সুন্নত।

চার. মোস্তাহাব রোজা- প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে অথবা প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব।

পাঁচ. নফল রোজা- মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছি আমল বা ইবাদত। অনেকই বলেছেন মুস্তাহাবই নফল বা নফলই মুস্তাহাব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!