• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ১৩


জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো মার্চ ১৭, ২০১৯, ০৬:২৪ পিএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ১৩

ছবি : সোনালীনিউজ

কক্সবাজার : জেলার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং ৬নং ক্যাম্পে শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের ধাওয়া করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পের ভুট্টো-ইউনুছ ও নবী হোছন গ্রুপের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে দুইপক্ষ মারমুখি অবস্থান নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়েরের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৩ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

যারা আটক হলেন- মো. ইসমাঈল (২৩), মো. হোছন (৩০) মো. আলম (১৯), মো. জুনাইদ (৩৫), ভুট্টো আলম (৫০), মো. ইউনুছ (১৮) মো. রফিক (১৮) মো. আমিন (১৯) আয়ার মোহাম্মদ (৩৫) মোহাম্মদ জাফর আলম (২২) শামশুল আলম (২০) দিল মোহাম্মদ (৩৫) ও এনায়েত উল্লাহ (৩৫)। গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গারা দলে দলে এদেশে ঢুকে পড়ে।

তাদেরকে মানবিক খাতিরে সরকার আশ্রয় দেয়। কিন্তু রোহিঙ্গারা রাখাইনে অশিক্ষায় কুশিক্ষায় বড় হওয়ায় দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত খুন খারাপি, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি, গুম, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চলে আসছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও পাত্তা দিতে চাই না। খবর পেয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গারা এক শ্রেণির আত্মঘাতী জাতি। তারা দেশের আইন-কানুন কিছুই তোয়াক্কা করে না।

রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা জানান, সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে প্রতি নিয়ত খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, গুম, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়েছে। তারা এদেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারলেও নিজেদের মধ্যে গৃহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। এরই জের ধরে গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত আড়াই পর্যন্ত দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরে থমথমে বিরাজ করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!