• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার রায় ঘোষণা চলছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৩:৩১ পিএম
রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার রায় ঘোষণা চলছে

ঢাকা: রোহিঙ্গা গণহত্যা অভিযোগের করা মামলার রায় জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ঘোষণা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে নেদারল্যান্ডের হেগ-এ মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন এই রায় ঘোষণা শুরু হয়। আরাকানে কোনো রোহিঙ্গা গণহত্যা ঘটেনি বলে দাবি করে আসছে মিয়ানমার সরকার। সর্বশেষ তদন্ত প্যানেল রোহিঙ্গাদের ওপর কিছু অপরাধের কথা স্বীকার করলেও বরাবরের মতোই গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করছে। 

এ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, মিয়ানমার সরকারের তদন্ত কমিটি গণহত্যার প্রমাণ না পেলেও, ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যা বিভিন্ন সময়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসসহ (আইসিজে) জাতিসংঘের একাধিক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানি হয়েছে। যার অন্তর্বর্তীকালীন গাম্বিয়ার করা মামলায় রায় আজ ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

এতে তাদের পক্ষে রায় আসবে এমন প্রত্যাশায় এখন হেগের দিকে চোখ রোহিঙ্গাদের। অপরদিকে ক্যাম্পভিত্তিক রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ বলেন, ‘আইসিজে রায়ে রোহিঙ্গাদের জয় আশা করছি আমরা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার যথেষ্ট প্রমাণাদি আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপন করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে মিয়ানমারে আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে আসছিল সেনারা। যা ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টে বড় আকারে জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে।’

গেল ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালায় মিয়ানমার। সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী বৌদ্ধরা হত্যা, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এই নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করে গাম্বিয়া।

মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত যাতে আরও তীব্রতর না হয়-এজন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। 

আদালতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করা দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, এ বিষয়ে মামলা পরিচালনার এখতিয়ার জাতিসংঘের আদালতের নেই। তিনি গণহত্যার অভিযোগ খারিজের আহ্বান জানান।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!