• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে হচ্ছে সর্বদলীয় কমিটি


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে হচ্ছে সর্বদলীয় কমিটি

ঢাকা : রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের উপায় খুঁজতে ও তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয়ে বোঝাতে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি হচ্ছে।

এ কমিটি শুধু দেশের ভেতরেই নয়, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার কথা বিদেশে গিয়েও তুলে ধরবে অনানুষ্ঠানিক কূটনীতির (ট্র্যাক টু ডিপ্লোমেসি) মাধ্যমে।

আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুই দফা বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের নাটকের কথাও বিদেশে তুলে ধরবে তারা।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকারবিরোধী পক্ষের অপরাজনীতি ঠেকাতেও মাঠে থাকবে কমিটি। তাদের দেশে ফেরাতে নতুন যেসব কৌশলের পরিকল্পনা ও রূপরেখা প্রণয়ন করছে সরকার, সেগুলোর বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে কমিটি। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দেশে ও জাতিসংঘ সফর করে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করে তা জাতীয় সংসদেও উপস্থাপন করা হবে কমিটির পক্ষ থেকে।

নীতিনির্ধারক পর্যায়ের সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদে যেসব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব আছে, সেসব দলকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মহাজোট ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকরাও থাকবে।

সরকারবিরোধী প্রধান দল বিএনপি সংসদে থাকলেও তারা সর্বদলীয় কমিটিতে থাকবে কি না, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকের সংশয় আছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি উসকানি দিচ্ছে এবং মিয়ানমার সরকারের মতো উসকানির সুরে দলটি মন্তব্য করছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের।

বিএনপির বিষয়ে সন্দিহান হলেও দলটির নেতৃত্বের ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের দুই সংসদ সদস্য সর্বদলীয় কমিটিতে থাকতে পারেন বলে কেউ কেউ আশাবাদী।

সংসদে না থাকলেও আওয়ামী লীগের আদর্শিক মিত্র ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবছে কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কেউ কেউ। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদের চতুর্থ অধিবেশন চলাকালে এ কমিটি গঠন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন প্রসঙ্গে চলতি বছরের শুরুর দিকে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে পরিকল্পনা ছিল। বিষয়টি নিয়ে একাদশ সংসদের এক অধিবেশনেও আলোচনা হয়। সংসদে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

ওই দিন তিনি সংসদে ‘পয়েন্ট অব অর্ডারে’ দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় এ প্রস্তাব করলে ১৪ দলের জোটের নেতারা এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং তারা নাসিমের প্রস্তাব সমর্থন করেন। গত ২২ আগস্টে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ার পর কমিটি গঠনের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ-শুধু বিদেশিরা নন, দেশের ভেতরে অনেকেই রোহিঙ্গাদের নানাভাবে মদদ দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে। মিয়ানমারে ফিরে না যেতে রোহিঙ্গাদের বিভ্রান্ত করছে। বিষয়গুলোর দিকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও নজর রাখছে।

অপরাজনীতির জবাব দিতে ও রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শিগগিরই নির্দেশ দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার  (২৭ আগস্ট) এ প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা নোংরা খেলায় মেতেছে, তাদের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তও আছে।

দেশি কিছু গোষ্ঠীও আছে, যারা কোটা আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ওই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ। আগের পালিয়ে আসাসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি।অধিবেশনেও আলোচনা হয়।

সংসদে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিন তিনি সংসদে ‘পয়েন্ট অব অর্ডারে’ দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় এ প্রস্তাব করলে ১৪ দলের জোটের নেতারা এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং তারা নাসিমের প্রস্তাব সমর্থন করেন। গত ২২ আগস্টে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ার পর কমিটি গঠনের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ-শুধু বিদেশিরা নন, দেশের ভেতরে অনেকেই রোহিঙ্গাদের নানাভাবে মদদ দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে। মিয়ানমারে ফিরে না যেতে রোহিঙ্গাদের বিভ্রান্ত করছে। বিষয়গুলোর দিকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও নজর রাখছে।

অপরাজনীতির জবাব দিতে ও রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শিগগিরই নির্দেশ দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা নোংরা খেলায় মেতেছে, তাদের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তও আছে।

দেশি কিছু গোষ্ঠীও আছে, যারা কোটা আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ওই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ। আগের পালিয়ে আসাসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!