• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা সংকটে ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনাকে ২ সম্মাননা


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮, ১২:৪৭ পিএম
রোহিঙ্গা সংকটে ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনাকে ২ সম্মাননা

ঢাকা : রাখাইনে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ও সংকট সামলাতে দূরদর্শী ভূমিকা রেখে ইন্টার প্রেস সার্ভিসের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের স্পেশ্যাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ সম্মাননা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
নিউইয়র্কে বৃহস্পিতবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পর আলাদা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার দুটি তুলে দেয়া হয়। দুটি পুরস্কারকেই বাংলাদেশের জনগণের জন্য উৎসর্গ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, সব দেশেরই নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মানবিক কারণে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে নজির স্থাপন করায় ইন্টার প্রেস সার্ভিস শেখ হাসিনাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস বুট্রোস-ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন। আর দাতব্য সংগঠন গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন শেখ হাসিনাকে স্পেশ্যাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ সম্মাননা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে ‘দূরদর্শী' নেতৃত্বের কারণে।

গত বছরের আগস্টের পর রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলমান রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গণহত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, বসতবাড়ি পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে দিলে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এ সময় সাত লাখেরও বেশি এ জনগোষ্ঠীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গত বছর সাধারণ অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে এবারের সাধারণ অধিবেশনে তিনি বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের যে চুক্তি হয়েছে- আমরা তার আশু বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা দেখতে চাই। আমরা দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।

জাতিসংঘ সদর দফতরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত ইন্টার প্রেস সার্ভিসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক উইলিয়াম লুসি সুইং।

এর পর রাতে নিউইয়র্কের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে আরেক অনুষ্ঠানে গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের সম্মানীয় প্রেসিডেন্ট ইরিনা বোকোভা প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্পেশ্যাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু ইসুফু, তিউনেসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসেবসি এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসও এ পুরস্কার পেয়েছেন।

সম্মাননা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমারে। কাজেই মিয়ানমারেই এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে মিয়ানমারে নিরাপদ আবাসস্থল তৈরির ওপর জোর দেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ দুই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!