• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
জাতিসংঘকে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নির্দিষ্ট অঞ্চলে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ৬, ২০১৮, ০৪:৩৭ পিএম
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নির্দিষ্ট অঞ্চলে

ঢাকা : রাখাইনে ফিরলে নবনির্মিত ‘আদর্শ গ্রামগুলো’তে থাকাবস্থায় নিরাপত্তা পাবে রোহিঙ্গারা। এর বাইরে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সম্প্রতি দেশটিতে সফর করা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলকে তিনি এ কথা জানান বলে শনিবার (৫ মে) হ্লাইংয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল নেইপিডোতে নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। বৈঠকে প্রতিনিধিদলকে দেওয়া বক্তব্য উল্লেখ করে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) জন্য নির্দিষ্ট করা এলাকার মধ্যে অবস্থান করলে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।’

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে উল্লেখ করেন হ্লাইং। রাখাইনে দীর্ঘদিন বাস করলেও তারা কখনো মিয়ানমারের জাতিসত্তা ছিল না- এটাই ছিল তার বক্তব্যের প্রতিফলন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনাসদস্যদের হাতে হত্যা, আগুনে পোড়ানো ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার যে মর্মস্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হ্লাইং। তিনি এসব বর্ণনাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে উল্লেভ করেছেন।

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাঙালিরা (রোহিঙ্গা) কখনোই বলবে না যে সেখানে (বাংলাদেশ) খুশি মনে গেছে। তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে বা তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে- এমন কথা বলে তারা সহানুভূতি আদায় করবে।’

এদিকে জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুতির কথা বললেও এখনো সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। মিয়ানমারে যে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে তাতে এক লাখের মতো মানুষের জায়গা হবে।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে খুব কমসংখ্যক বাড়ি নির্মাণ করেছে তারা। কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছেন রোহিঙ্গারা। সেখানে তাদের নাগরিকত্বসহ ন্যূনতম মানবাধিকার রক্ষা করা হয় না। সবশেষ গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও ও লুটপাট চালাতে থাকে।

এই পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এই নির্যাতনকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত বছরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মিয়ানমার। তবে নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার মতো মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা না পেলে মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নন বিতাড়িত রোহিঙ্গারা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!