• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের শূন্যরেখা থেকে সরে যেতে মিয়ানমারের মাইকিং


বান্দরবান প্রতিনিধি মে ২০, ২০১৮, ১১:০৯ এএম
রোহিঙ্গাদের শূন্যরেখা থেকে সরে যেতে মিয়ানমারের মাইকিং

ঢাকা : সীমান্তে সৈন্যসংখ্যা বাড়িয়ে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে মিয়ানমার। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা জানান, জায়গাটি মিয়ানমারের দাবি করে এ প্রচারণা করছে দেশটির সৈন্যরা। রমজানের প্রথম দিন এ প্রচারণায় ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠক শুরুর আগের রাত থেকে তুমব্রু সীমান্তে এই প্রচারণা চালাতে শুরু করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের সরে যেতে নির্দেশনা শুরু করে মিয়ানমার। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমারের এই প্রচারণার পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। একাধিকবার মাইকিং ও সীমান্তে সৈন্যসংখ্যা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

বিজিবির কক্সবাজারস্থ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ‘মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিনা উসকানি ও অতর্কিতে তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে মাইকিং করার বিষয়টি সীমান্ত আইনের পরিপন্থি।’ সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখা এবং যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক অবস্থা পর্যবেক্ষণে বিজিবি সদস্যরা সতর্কাবস্থায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

চলতি বছরের মার্চেও মিয়ানমার বাহিনী একইভাবে শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে আসতে মাইকিং করেছিল। ওই সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়ায় মই দিয়ে অনুপ্রবেশ করে শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় বৈঠকে ১১০১ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার আগ্রহের কথা জানায় মিয়ানমার। এর পরদিনই তারা এ ধরনের মাইকিং করল। এর ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দেশটির সরকারের অসহযোগিতা আবারো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে শুরু হওয়া নির্যাতনের পর এখন পর্যন্ত সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট চালানোকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানালেও এখনো তা শুরু করেনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!