• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি


স্বাস্থ্য ডেস্ক জুলাই ২৪, ২০১৮, ০৩:০০ পিএম
লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি

ঢাকা : লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই নষ্ট হয়ে যেতে পারে অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ কিডনি। ফলে নষ্ট না হলে আমাদের দেশে সাধারণত কেউ কিডনি-সংক্রান্ত কোনো চিকিৎসা বা পরীক্ষা করতে যায় না। কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি এমন একটি অঙ্গ যা ৭০ শতাংশ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কোনো লক্ষ্মণ প্রকাশ করে না। সে জন্য সবাই উচিত কিডনির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে জেনে নেয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ এ অঙ্গটি কী অবস্থায় আছে।

১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি জটিলতায় ভুগছে। সময়মতো শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে ৭০ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বিকল্প হলো কিডনি প্রতিস্থাপন করা। ডায়ালাইসিস অথবা প্রতিস্থাপন দুটো চিকিৎসাই অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে হলে বছরে কমপক্ষে একবার করে কিডনি পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।

কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) মতে, বাংলাদেশে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মানুষ কিডনি বিকল হওয়ার কারণে মৃত্যু বরণ করে। ব্যয়বহুল হওয়ায় ৯০ শতাংশ কিডনি রোগী মৃত্যুবরণ করে চিকিৎসা করতে না পেরে। অথচ বছরে কমপক্ষে একবার করে কিডনি পরীক্ষা করে নিলে মৃত্যু যেমন এড়ানো সম্ভব তেমনি কিডনি চিকিৎসা করতে গিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয় না।

বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে কিডনি চিকিৎসায় রয়েছে নানা সমস্যা। এখানে অবকাঠামো সমস্যাও অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে।
কিডনি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিডনি শরীরের পানি নিয়ন্ত্রণ করে। একই সাথে রক্তের পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। কিডনি সমস্যা হলে তা চিকিৎসায় দূর করতে না পারলে মানুষের শরীরে উচ্চরক্তচাপ (হাই ব্লাডপ্রেশার), রক্তস্বল্পতা, নার্ভ সিস্টেমকে নষ্ট করে দিয়ে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়, ডায়াবেটিসও হয় কিডনিতে সমস্যা থাকলে।

কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন শরীরে পাঁচটি লক্ষণ প্রকাশ পেলে কিডনি সমস্যা হতে পারে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অথবা প্রস্রাবে বেশি করে ফেনা হলে অথবা প্রস্রাবের সাথে রক্ত বেরোলে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।

কিডনিতে জটিলতা দেখা দিলে পা অথবা পায়ের গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। একই সাথে মুখও ফুলতে পারে। এ অবস্থা হয়ে থাকে যখন কিডনি অতিরিক্ত ফুইড সরাতে না পারে। সারাক্ষণ কান্তি অনুভূত হতে পারে, শরীরে শক্তি পাওয়া যাচ্ছে না এমন ভাবও হতে পারে কিডনি নষ্ট হলে। কিডনি বিকল হলে শরীরে লাল রক্তকণিকা কমে যেতে পারে। এর ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে শরীরের কোষগুলো ও ব্রেইন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিডনি সমস্যা হলে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে, শরীরের ওজন কমে যেতে পারে। সারাক্ষণ মাথা ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে, গভীরভাবে কোনো কিছু চিন্তা করতে মনোযোগ নাও থাকতে পারে।
সোনালীনিউজ/আরজে

Wordbridge School
Link copied!