• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থার উন্নতি


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৭, ২০১৬, ০৮:৩৬ পিএম
লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

সোনালীনিউজ ডেস্ক

দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন মুক্তিযোদ্ধা এবং কিংবদন্তি সুরকার ও শিল্পী লাকী আখন্দ। টানা পাঁচ মাস চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক ছিলেন তিনি। ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা নিতে গত বছরের নভেম্বর ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে কয়েক দফা তাকে কেমোথেরাপি দেয়া হয়। কেমো শেষে গত মাসের শেষের দিকে তিনি দেশে ফিরেছেন।

এদিকে আপাতত বাসায়ই আছেন তিনি। লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থার খানিক উন্নতি হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফুসফুসে ক্যানসার নিয়ে ব্যাংককে পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। প্রথম দফায় তার শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু এতে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে কেমোথেরাপি শুরু করতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পরপরই অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফিরেন লাকী। নভেম্বরে দ্বিতীয় দফা চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর অসুস্থ লাকী আখন্দকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সপ্তাহ খানেক পর তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। উল্লেখ্য, লাকী আখন্দ তার দীর্ঘ সংগীত জীবনে অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হ্যাপী আখন্দের ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশি বাজায়রে’, কুমার বিশ্বজিতের ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, সামিনা চৌধুরীর ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘মামনিয়া’, নিজের গাওয়া ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘আগে যদি জানতাম’ প্রভৃতি। অকালপ্রয়াত প্রখ্যাত শিল্পী হ্যাপী আখন্দ তার ছোট ভাই।
১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’ বের হয়। ১৯৮৭ সালে হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পর সংগীতাঙ্গন থেকে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিনের বিরতি শেষে সমপ্রতি আবারও ফিরে এসে দুই বাংলাকে এক সুরে বেঁধে অ্যালবামের কাজ করছিলেন তিনি। গান করার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বেতারে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!